কোটি ডলারের বিচ্ছেদের ফাঁদে নেই প্রভেদ
কলকাতা টাইমস :
বিয়ে নাকি স্বর্গে সৃষ্টি হয়, তাহলে বিচ্ছেদ কোথাকার সৃষ্টি? সঙ্গে ভরণপোষণের ব্যাপারটাও তো রয়েছে। ভাবছেন ভরণপোষণের কথা আবার কোত্থেকে এলো? তারকাদের বিচ্ছেদের পর খরপোষের বাহারে এমন কথা ওঠাটাই তো স্বাভাবিক। তাদের বিয়ের খরচটা যেমন মরা হাতির দামের চেয়েও বেশি তেমনি ভরণপোষণের খরচও। তবে শুধু ছেলেরাই যে ভরণপোষণের ফাঁদে পড়েন তা কিন্তু নয়। অবাক হলেও সত্যি হলিউডের কিছু নারী তারকাকেও গুনতে হয়েছে মোটা অঙ্কের খরপোষ। জেনে নিন তারকাদের ব্যয়বহুল বিচ্ছেদের এক ঝলক।
ম্যাডোনা
ব্রিটিশ নির্মাতা গাই রিচির সঙ্গে পপসম্রাজ্ঞী ম্যাডোনার বিচ্ছেদ নিয়ে পুরো বিশ্বেই বিস্তর আলোচনা হয়েছিলো। কিন্তু ম্যাডোনার গান গেয়ে জমানো সাড়ে সাত কোটি ডলার যে রিচির জন্য গচ্চা দিতে হয়েছিলো তা ক’জনইবা জানে!
জ্যানেট জ্যাকসন
রেনে এলিজান্ডো নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে জ্যানেট জ্যাকসন থেকেছেন, ঘুরেছেন, খেয়েছেন। ওই ব্যক্তিই যে প্রায় ৯ বছর পর খরপোষ চেয়ে আড়াই কোটি ডলার দাবি করে বসবেন তা কল্পনাও করতে পারেননি জ্যানেট। পরে অবশ্য ১ কোটি ডলারে দফারফায় রাজি হয়েছিলেন এলিজান্ডো।
জেনিফার লোপেজ
‘লাভ ডোন্ট কস্ট এনিথিং’ গানটির মিউজিক ভিডিও তৈরির সময় জেনিফার লোপেজের পরিচয় হয়েছিলো ক্রিজ জাডের সঙ্গে। বিয়েও করেছিলেন দু’জন। কিন্তু যুবকটি যে জেলো’কে এতোটা কষ্ট দেবেন কে জানত! বিয়ের বছর না ঘুরতেই বিচ্ছেদের জন্য লোপেজকে গুনতে হয়েছিলো দেড় কোটি মার্কিন ডলার।
এলিজাবেথ টেলর
এ যেন সম্রাজ্ঞী ও রাজমিস্ত্রীর প্রেম। কি অদ্ভূত! অসুস্থতার জন্য এলিজাবেথ টেলর ছিলেন হাসপাতালে। সেখানেই ভর্তি ছিলেন রাজমিস্ত্রী ফরটেনস্কি। দেখা হওয়ার পর প্রেমও হয়ে গেলো তাদের। সেই সঙ্গে হয়ে গেলো এলিজাবেথের অষ্টম বিয়েটাও। কিন্তু পাঁচ বছরের মাথায় তাদের আর সহ্য হচ্ছিল না একে অন্যেকে। শেষে ১০ লাখ ডলারের বিনিময়ে অষ্টম বিচ্ছেদটা সেরে ফেলেছিলেন প্রয়াত অভিনেত্রী এলিজাবেথ টেলর।
জেন ফন্ডা
অভিনেত্রী-সমাজকর্মী জেন ফন্ডা বিয়ে করেছিলেন লেখক টম হেডেনকে। তাদের বিয়েটা টিকেছিলো ১৭ বছর। ১৯৯৭ সালে লস অ্যাঞ্জেলেসে মেয়র পদের জন্য নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলেন টম। সেখানেই এক বক্তৃতায় তিনি জানান, বিচ্ছেদের পর জেন তাকে ২০ লাখ ডলার দিয়েছিলেন। কিন্তু বেচারা টম নির্বাচনী প্রচারে ওই টাকা খরচ করে ফেলেন।
জেমস ক্যামেরন
ডুবে যাওয়া টাইটানিককে ফের একবার বিখ্যাত করেছিলেন জেমস ক্যামেরন তার পরিচালিত ‘টাইটানিক’ ছবির মাধ্যমে। কিন্তু টাইটানিকের মতো জেমসও একবার ডুবেছিলেন লিন্ডা হ্যামিলটনের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর। ৫ কোটি ডলার ভরণপোষণ দিতে হয়েছিলো ‘টার্মিনেট’ ছবির এই অভিনেত্রীকে।
হ্যারিসন ফোর্ড
স্ত্রী মেলিসা ম্যাথিসনের সঙ্গে আশি থেকে নব্বই দশক পর্যন্ত একই ছাদের নিচে কাটিয়েছিলেন হ্যারিসন ফোর্ড। এরপর যেন-তেনো করে আরও দশ বছর কেটেছে। শেষ পর্যন্ত বিয়েটা আর টেকাতে পারেননি তিনি। বেশ চড়া দাম দিতে হয়েছিলো বিচ্ছেদের জন্য। মোট ৮ কোটি ৫০ লাখ ডলারের সঙ্গে ‘স্টার ওয়ারস’ সিরিজের দুটি ছবি এবং ‘ইন্ডিয়ানা জোন্স’ সিরিজের তিনটি ছবির রয়্যালটি দিতে হয়েছিল মেলিসাকে।
স্টিভেন স্পিলবার্গ
চড়া ভরনপোষনের হাত থেকে কোনো কিছুই বাঁচাতে পারেনি স্টিভেন স্পিলবার্গকে। এমনকি আটকাতে পারেনি তার বিয়ে বিচ্ছেদও। স্ত্রী এমি হারভিংয়ের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর তাকে খরপোষের জন্য গুনতে হয়েছিলো ১০ কোটি ডলার।
পল ম্যাককার্টনি
প্রেম হোক আর বিয়ে, পল ম্যাককার্টনি সবখানেই তারকা। কত বিয়ে আর প্রেমই না করেছেন জীবনে, কিন্তু চার বছর একসঙ্গে থাকার পর হিদার মিলস তাকে ৪ কোটি ৮৬ লাখ ডলারের বড়সড় একটা ঝটকা দেবেন বুঝতেও পারেননি পল।
মাইকেল ডগলাস
ডায়ান্ড্রা লুকারের সঙ্গে ২৩ বছরের সংসার ছিলো মাইকেল ডগলাসের। এতো পুরনো সম্পর্কে বনিবনা না হওয়ার শাস্তিস্বরুপ ভরণপোষণের মূল্য ছিলো সাড়ে ৪ কোটি ডলার।