দাদুর ভুলে ‘সন্ত্রাসে জড়িত” তিন মাসের শিশু

কলকাতা টাইমস :
তিন মাসের শিশুটির নাম হার্ভে কেনিয়ন। লন্ডন থেকে পরিবারের সঙ্গে ছুটি কাটাতে আমেরিকার ফ্লোরিডা যাচ্ছিল সে। ছুটির রাজ্যে যাওয়া অবশ্য হয়েছে। তবে, বিস্তর কাঠখড় পুড়িয়ে। ছোট্ট হার্ভে-সহ গোটা পরিবারকে লন্ডনের বাড়ি থেকে ঘণ্টা দশেক দূরের মার্কিন দূতাবাসে ঢুঁ মারতে হয়েছে। সেখানে কঠিন কঠিন প্রশ্নে জর্জরিত হয়ে অবশেষে ফ্লোরিডা যাওয়ার ছাড়পত্র মেলে তাঁদের। তবে গোটা ঘটনার জন্য দায়ী হার্ভের ঠাকুরদার একটি ছোট্ট ভুল।
আমেরিকায় ঢুকতে হলে ইলেক্ট্রনিক সিস্টেম ফর ট্রাভেল অথরাইজেশন (ইএসটিএ)-এর ফর্ম পূরণ করতে হয়। ৩ মাসের ওই খুদের হয়ে তার ঠাকুরদা পল কেনিয়ন ফর্মটি পূরণ করেন। ফর্মে জানতে চাওয়া হয়, আমেরিকা যেতে ইচ্ছুক ব্যক্তি কোনও কালে সন্ত্রাসমূলক কাজকর্ম, গুপ্তচরবৃত্তি, নাশকতা এবং গণহত্যার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন কি? বা এখনও যুক্ত রয়েছেন কি না? হ্যাঁ বা না— এই অপশনে টিক দিতে হত। তা করতে গিয়েই ভুলবশত তিনি হ্যাঁ-তে টিক চিহ্ন দিয়ে দেন।
সেই ফর্মটি দূতাবাসের অফিসারদের নজরে পড়তেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হার্ভেকে ডেকে পাঠানো হয়। অবাক হয়ে যায় হার্ভের পরিবার। যে এখনও ঠিকঠাক করে উঠে বসতে পর্যন্ত পারে না, সে সন্ত্রাস-গুপ্তচরবৃত্তি-গণহত্যা
হার্ভেকে উদ্দেশ্য করে একটার পর একটা প্রশ্ন ছুড়ছিলেন অফিসারেরা। তাতে অবশ্য পাত্তা দেয়নি হার্ভে। সে নিজের তালেই ছিল। হাত-পা ছুঁড়ে দিব্যি মজে ছিল খেলায়। ঘণ্টাখানেক জেরার পর শেষমেশ রেহাই মেলে তার। কিন্তু তত ক্ষণে আমেরিকা যাওয়ার ফ্লাইট ছেড়ে দিয়েছে। অতিরিক্ত ৩০০০ পাউন্ড খরচ করে ফের টিকিট কাটেন তাঁরা। গোটা ঘটনায় বিরক্ত পল বলেন, কোনও সন্ত্রাসবাদী কি ওই জায়গায় নিজে থেকে হ্যাঁ-তে টিক দেবে? এটা যে নিছকই ভুল তা বোঝা উচিত ছিল। মার্কিন দূতাবাসের তরফে এই বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।