করোনা ঠেকাতে মিশ্র টিকা বেশি কাজের
[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :
করোনার প্রকোপ ঠেকাতে মিশ্র টিকার ওপর জোর দিচ্ছে একাধিক দেশ। ভারতেও সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস (এইমস) প্রধান রণদীপ গুলেরিয়া। তিনি জানিয়েছেন, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে মিশ্র টিকা ব্যবহার করা যেতেই পারে। তবে এ নিয়ে আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা প্রয়োজন। সাম্প্রতিক সময়ে অনেক দেশেই মিশ্র টিকা ব্যবহার হচ্ছে। ভারতও একই পথে হাঁটতে চাইছে।
করোনার ডেল্টা এবং ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। সেই সঙ্গে করোনার তৃতীয় ঢেউ আঘাত হানতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন চিকিৎসকরা। এতেই মিশ্র টিকা ব্যবহারের বিষয়ে প্রশ্ন করছেন অনেকেই। গুলেরিয়া বলেন, প্রাথমিক পরীক্ষায় মিশ্র টিকা ব্যবহারে সুফলের কথা উঠে এসেছে। তবে এক্ষেত্রে আরও তথ্য জানা প্রয়োজন। কোন দু’টি মিশ্রণ কার্যকরী হতে পারে, তা নিয়ে গবেষণা হওয়া প্রয়োজন। তবে হ্যাঁ, মিশ্র টিকা কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা বেশ জোরালোই।
ভারতে করোনার ডেল্টা এবং ডেল্টা প্লাস প্রজাতি নিয়ে উদ্বেগের অন্যতম কারণ হিসেবে দুই টিকার মধ্যবর্তী বর্ধিত ব্যবধানও দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত মাসেই কেন্দ্রীয় সরকার দুই টিকার ব্যবধান বাড়িয়ে ১২ থেকে ১৬ সপ্তাহ করেছে, আগে যা ছয় থেকে আট সপ্তাহ ছিল। কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাক্সিন, দুই টিকার ক্ষেত্রেই এই নিয়ম প্রযোজ্য বলে জানিয়েছে কেন্দ্র।
মহামারি ঠেকাতে জার্মান সরকার ইতোমধ্যেই মিশ্র টিকার ব্যবহার শুরু করেছে। দেশটির চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মেরকেল নিজে প্রথমে অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি টিকা নিয়েছেন। পরবর্তীতে দ্বিতীয় টিকার ক্ষেত্রে তিনি মডার্নার তৈরি টিকা বেছে নিয়েছেন। অপরদিকে, যুক্তরাষ্ট্রে ২৮ দিনের ব্যবধানে ফাইজার এবং মডার্নার মিশ্র টিকা দেওয়া হচ্ছে। ব্রিটেনেও বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে মিশ্র টিকায় ছাড় দেওয়া হয়েছে।