এখন মোদিই ট্রাম্প কার্ড মধ্যপ্রদেশে
কলকাতা টাইমস :
মধ্যপ্রদেশে মাঝে এক বছর বাদ দিয়ে টানা কুডি় বছর ক্ষমতায় বিজেপি৷ শিবরাজ সিং চৌহান একটানা মুখ্যমন্ত্রী৷ স্বভাবতই দুই দশকের প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার বোঝা বইতে হচ্ছে বিজেপিকে৷ সেই মধ্যপ্রদেশকেই এবার পাখির চোখ করে ঝাপিয়ে পড়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷
বুধবারের পর বৃহস্পতিবারও মধ্যপ্রদেশে প্রচার করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ বুধবার রাতে দিল্লি ফিরে বৃহস্পতিবার সকাল সকাল মধ্য ভারতের এই রাজ্যটিতে পৌঁছে যান প্রধানমন্ত্রী৷ সাম্প্রতিক কালে কর্নাটকের পর একমাত্র মধ্যপ্রদেশের ভোটেই প্রধানমন্ত্রীকে প্রচারে এত ব্যস্ত দেখা গিয়েছে৷
তবে এখানে প্রচারে এসে প্রধানমন্ত্রী শুধু বিধানসভা নির্বাচনের নয় লোকসভা নির্বাচনের জন্য ভোট চাইছেন৷ বিজেপি সূত্রের খবর, দলের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি মানুষের মন জয় করতে বিফল তাই প্রধানমন্ত্রী প্রতিটি সভায় বলছেন, রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের যাবতীয় প্রতিশ্রুতির তিনিই গ্যারান্টার৷ প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ‘ইয়ে মোদি কা গ্যারান্টি হ্যায়৷’
যদিও প্রধানমন্ত্রী মোদি যেভাবে প্রচারে ঝাঁপিয়েছেন তাতে স্পষ্ট গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে দীর্ণ মধ্যপ্রদেশ বিজেপিতে প্রধানমন্ত্রীকে সামনে রাখা ছাড়া বিকল্প নেই দলের সামনে৷
মোদি আরও বলছেন, লোকসভার ভোট আসন্ন৷ বিধানসভার এই নির্বাচনে পদ্মে ছাপ দিল্লির সরকারকে আরও শক্তিশালী করবে৷ প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনাদের একটি ভোট আসলে তিনটি রায়৷ এক. মধ্যপ্রদেশে বিজেপির আরও মজবুত সরকার৷ দুই. দিল্লিতে ফের পদ্ম সরকার৷ তিন. দুর্নীতি মুক্ত ভারত৷ মোদি বলছেন, ভোট দিন আমার সরকারের কর্মসূচি দেখেও৷ এর আগে হিমাচল প্রদেশের বিধানসভা ভোটের প্রচারে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, পদ্ম ফুল ছাপ দেওয়া মানে নরেন্দ্র মোদিকে সমর্থন করা৷
প্রধানমন্ত্রীর এই কথাই বাকি সভায় বলছেন বিজেপি নেতারা৷ মোদির প্রতিশ্রুতির কথা তুলে ধরে বিজেপির প্রার্থী এবং প্রচারকেরা তাঁকে ডিপেন্ডেবল হিসাবে তুলে ধরছেন ভোটারদের কাছে৷ বলছেন, স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী কথা দিচ্ছেন, যাঁর উপর দেশ শুধু নয়, গোটা বিশ্ব নির্ভর করে৷ মধ্যপ্রদেশে বিজেপি এবার অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষা করে শেষে মোদীকেই প্রচারের মুখ করেছে৷ যদিও অন্তত চারজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং সাত জন সাংসদ বিধানসভার নির্বাচনে লড়াই করছেন৷ গোড়ায় ঠিক হয়েছিল, চারবারের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানকে এবার প্রার্থী করা হবে না৷ দলের একাংশের বক্তব্য ছিল, শিবরাজের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার স্রোত বইছে৷ তাঁকে সামনে রেখে লড়াই করা কঠিন হবে৷ পরে অবস্থান বদল করে দল৷ বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীকে টিকিট না দিলে মেনে নেওয়া হবে তাঁর সরকার ব্যর্থ, এই ধারণা কেছিলেন প্রচার আটকাতেই শিবরাজ লড়াইয়ে আছেন৷