খেয়ে-দিয়ে ৮০ লক্ষ, একবছরেও দেন নি মোদি
[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :
বন সংরক্ষণ অনুষ্ঠানে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী উঠেছিলেন বিলাশবহুল হোটেলে৷ সেটা ২০২৩ এর ঘটনা৷ মোদির থাকার যে বিল হয়েছিল তা নাকি একবছর অতিবাহিত হয়ে গেলও মেটায়নি কেন্দ্র সরকার৷ যা নিয়ে রীতিমত ক্ষুব্ধ সেই হোটেলের কর্তারা৷ এমনকী তারা আইনত ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও চিন্তা করছে বলে হোটেল সূত্রে জানা গিয়েছে৷
জানা গিয়েছে এনটিসি-এর বন সংরক্ষণ অনুষ্ঠানে মাইসুর সফরকালে মোদিকে রাখা হয় মাইসুরুর র্যাডিসন ব্লু প্লাজা নামে এক বিলাসবহুল হোটেলে৷ সেই সময় হোটেল বিল ৮০.৬ লক্ষ টাকা এখনও অনাদায়ী৷ যা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে টানাপোড়েন৷ কারণ হোটেল কর্তৃপক্ষ এ নিয়ে চিঠি পাঠালে মোদির দফতর থেকে জানানো হয়, এই বিল মাহিসূর বন দফতরের মেটানোর কথা৷ আবার বন দফতর দায় চাপিয়েছে কেন্দ্রের ওপর৷
এক বছরের বেশি সময় ধরে বকেয়া সেই টাকা আদায়ে মাইসুরুর (সাবেক মহিশূর) তারকাখচিত হোটেল র্যাডিসন ব্লু প্লাজা আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে৷ গতবছর এপ্রিল মাসে একটি সরকারি অনুষ্ঠানে মাইসুরুর এই হোটেলে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী৷ মোদির থাকা-খাওয়া বাবদ ৮০ লক্ষ টাকার বেশি দীর্ঘদিন ধরে বকেয়া পডে় থাকায় আদালতে যেতে পারে কর্তৃপক্ষ৷ ‘দ্য হিন্দু’ এই সংবাদ জানিয়ে লিখেছে, গতবছর প্রধানমন্ত্রী মাইসুরুতে এই হোটেলে ছিলেন৷ প্রজেক্ট টাইগার নামে একটি প্রকল্পের ৫০-তম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন৷ অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিল জাতীয় ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষ (এনটিসিএ) এবং কেন্দ্রীয় বন, পরিবেশ এবং জলবায়ু মন্ত্রক৷ রাজ্য বন দফতরকে ৯-১১ এপ্রিল একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল৷ যার আনুমানিক খরচ ধরা হয়েছিল ৩ কোটি টাকা৷ পুরো টাকাটাই কেন্দ্রীয় সরকারের খরচে হওয়ার কথা ছিল৷ কিন্ত্ত, অতি দ্রুত আয়োজনপর্ব সমাধা করতে গিয়ে সেই খরচ ৬.৩৩ কোটিতে পৌঁছয়৷ এ পর্যন্ত কেন্দ্রের তরফে রাজ্য বন দফতরকে ৩ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে৷ বাকি রয়েছে ৩.৩৩ কোটি টাকা৷ সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, প্রথমে মূল খরচ ৩ কোটি ধরা হলেও কেন্দ্রের দুই সংস্থার পক্ষ থেকে আরও অনেক কিছু যোগ করায় খরচ বেডে় যায়৷ আর এই কারণেই এই অনুষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্ত ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি খরচের বহরও বাডি়য়ে দেয়৷ একটি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নতুন কোটেশনও দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রক ও সংস্থাকে৷ তারপরেও মাইসুরুতে প্রধানমন্ত্রীর থাকা-খাওয়ার বকেয়া বিল নিয়ে আলোচনা চলতেই থাকে৷ গতবছরেই ২৯ সেপ্টেম্বর প্রিন্সিপাল চিফ কনজারভেটর অফ ফরেস্ট (বন্যপ্রাণ) এনটিসিএ-র কাছে প্রাথমিকভাবে বিষয়টি রাখা হয়৷ চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে এনটিসিএ জানিয়ে দেয়, এই খরচটি বহন করতে হবে রাজ্য সরকারকে৷ এরপর নতুন প্রিন্সিপাল চিফ কনজারভেটর গত মার্চ মাসে এবং হোটেলের ফিনান্স ম্যানেজার মে মাসে বকেয়া টাকার কথা স্মরণ করিয়ে দিলেও ৮০.৬ লক্ষ টাকার বিলের অর্থ এখনও হাতে পায়নি র্যাডিসন ব্লু প্লাজা৷
হোটেলের তরফে সরকারে জানানো হয়েছে, একবছরের বেশি সময় ধরে টাকা বকেয়া থাকায় বার্ষিক ১৮ শতাংশ সুদ ধরা হবে৷ অতিরিক্ত ১২.০৯ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথাও বিলে যোগ করেছে হোটেল কর্তৃপক্ষ৷ আগামী ১ জুনের মধ্যে বকেয়া বিলের টাকা না মেটালে আদালতে যাওয়ার কথা জানানো হয়েছে৷ রাজ্য বন দফতর সাফ জানিয়ে দিয়েছে, বকেয়া টাকা তারা দেবে না৷ কারণ এটা কেন্দ্রীয় সরকারের অনুষ্ঠান ছিল৷ তবে রাজ্য-কেন্দ্রে এই টানাপোড়েনে ঝুলতে রাজি নয় হোটেল কর্তৃপক্ষ৷ তাই তারা জানিয়েছে আইন মারফৎ রাজ্য এবং কেন্দ্র উভয়কেই দেনাদার হিসেবে দায়ী করবে৷
জানা গিয়েছে এনটিসি-এর বন সংরক্ষণ অনুষ্ঠানে মাইসুর সফরকালে মোদিকে রাখা হয় মাইসুরুর র্যাডিসন ব্লু প্লাজা নামে এক বিলাসবহুল হোটেলে৷ সেই সময় হোটেল বিল ৮০.৬ লক্ষ টাকা এখনও অনাদায়ী৷ যা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে টানাপোড়েন৷ কারণ হোটেল কর্তৃপক্ষ এ নিয়ে চিঠি পাঠালে মোদির দফতর থেকে জানানো হয়, এই বিল মাহিসূর বন দফতরের মেটানোর কথা৷ আবার বন দফতর দায় চাপিয়েছে কেন্দ্রের ওপর৷
এক বছরের বেশি সময় ধরে বকেয়া সেই টাকা আদায়ে মাইসুরুর (সাবেক মহিশূর) তারকাখচিত হোটেল র্যাডিসন ব্লু প্লাজা আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে৷ গতবছর এপ্রিল মাসে একটি সরকারি অনুষ্ঠানে মাইসুরুর এই হোটেলে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী৷ মোদির থাকা-খাওয়া বাবদ ৮০ লক্ষ টাকার বেশি দীর্ঘদিন ধরে বকেয়া পডে় থাকায় আদালতে যেতে পারে কর্তৃপক্ষ৷ ‘দ্য হিন্দু’ এই সংবাদ জানিয়ে লিখেছে, গতবছর প্রধানমন্ত্রী মাইসুরুতে এই হোটেলে ছিলেন৷ প্রজেক্ট টাইগার নামে একটি প্রকল্পের ৫০-তম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন৷ অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিল জাতীয় ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষ (এনটিসিএ) এবং কেন্দ্রীয় বন, পরিবেশ এবং জলবায়ু মন্ত্রক৷ রাজ্য বন দফতরকে ৯-১১ এপ্রিল একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল৷ যার আনুমানিক খরচ ধরা হয়েছিল ৩ কোটি টাকা৷ পুরো টাকাটাই কেন্দ্রীয় সরকারের খরচে হওয়ার কথা ছিল৷ কিন্ত্ত, অতি দ্রুত আয়োজনপর্ব সমাধা করতে গিয়ে সেই খরচ ৬.৩৩ কোটিতে পৌঁছয়৷ এ পর্যন্ত কেন্দ্রের তরফে রাজ্য বন দফতরকে ৩ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে৷ বাকি রয়েছে ৩.৩৩ কোটি টাকা৷ সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, প্রথমে মূল খরচ ৩ কোটি ধরা হলেও কেন্দ্রের দুই সংস্থার পক্ষ থেকে আরও অনেক কিছু যোগ করায় খরচ বেডে় যায়৷ আর এই কারণেই এই অনুষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্ত ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি খরচের বহরও বাডি়য়ে দেয়৷ একটি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নতুন কোটেশনও দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রক ও সংস্থাকে৷ তারপরেও মাইসুরুতে প্রধানমন্ত্রীর থাকা-খাওয়ার বকেয়া বিল নিয়ে আলোচনা চলতেই থাকে৷ গতবছরেই ২৯ সেপ্টেম্বর প্রিন্সিপাল চিফ কনজারভেটর অফ ফরেস্ট (বন্যপ্রাণ) এনটিসিএ-র কাছে প্রাথমিকভাবে বিষয়টি রাখা হয়৷ চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে এনটিসিএ জানিয়ে দেয়, এই খরচটি বহন করতে হবে রাজ্য সরকারকে৷ এরপর নতুন প্রিন্সিপাল চিফ কনজারভেটর গত মার্চ মাসে এবং হোটেলের ফিনান্স ম্যানেজার মে মাসে বকেয়া টাকার কথা স্মরণ করিয়ে দিলেও ৮০.৬ লক্ষ টাকার বিলের অর্থ এখনও হাতে পায়নি র্যাডিসন ব্লু প্লাজা৷
হোটেলের তরফে সরকারে জানানো হয়েছে, একবছরের বেশি সময় ধরে টাকা বকেয়া থাকায় বার্ষিক ১৮ শতাংশ সুদ ধরা হবে৷ অতিরিক্ত ১২.০৯ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথাও বিলে যোগ করেছে হোটেল কর্তৃপক্ষ৷ আগামী ১ জুনের মধ্যে বকেয়া বিলের টাকা না মেটালে আদালতে যাওয়ার কথা জানানো হয়েছে৷ রাজ্য বন দফতর সাফ জানিয়ে দিয়েছে, বকেয়া টাকা তারা দেবে না৷ কারণ এটা কেন্দ্রীয় সরকারের অনুষ্ঠান ছিল৷ তবে রাজ্য-কেন্দ্রে এই টানাপোড়েনে ঝুলতে রাজি নয় হোটেল কর্তৃপক্ষ৷ তাই তারা জানিয়েছে আইন মারফৎ রাজ্য এবং কেন্দ্র উভয়কেই দেনাদার হিসেবে দায়ী করবে৷