কুমোরের ছাঁচে তৈরী হলো কাঁদামাটির ফ্রিজ চলবে বিদ্যুৎ ছাড়াই
খাবার-দাবার সংরক্ষণ করতে চাইলে রেফ্রিজারেটরের বিকল্প নেই। আবার প্রচণ্ড গরমে শীতল পানীয় কিংবা ঠাণ্ডা জাতীয় খাবারের সাধও পূরণ হয় এ রেফ্রিজারেটরের মাধ্যমে। তবে অনেক দাম দিয়ে রেফ্রিজারেটর কেনার ক্ষমতা অনেকেরই নেই। তাঁর মধ্যে রয়েছে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ খরচের ভয়।
এ সঙ্কটের অভাবনীয় এক সমাধান বের করেন মানসুখভাই প্রজাপতি নামের ভারতীয় উদ্যোক্তা। কম খরচে কাঁদা দিয়েই রেফ্রিজারেটর তৈরি করেছেন তিনি। আর সেই রেফ্রিজারেটর আবার চলবে বিনা বিদ্যুতে।
মাত্র দশম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন মানসুখভাই। কাঁদামাটির পণ্য তৈরি করা ছিল তাঁর পৈতৃক পেশা। তবে এতে তিনি মোটেও আগ্রহী ছিলেন না। তার কারণ, পেশাটি বর্তমানে বিলুপ্তির পথে রয়েছে। সবসময় অন্য পেশার দিকে পা বাড়ানোর ঝোঁক ছিল তার মাথায়। আর সে চিন্তা থেকে টাইলস নির্মাণ শুরু করেন মানসুখভাই। তখন হঠাৎ করে তার মাথায় আসে অন্য বুদ্ধি। তিনি ভাবতে থাকেন, যদি কাঁদামাটি দিয়ে টাইলস তৈরি করা সম্ভব হয় তবে কেন অন্য পণ্য নয়?
যে ভাবা সেই কাজ। রেফ্রিজারেটর, কুকার, ফিল্টারসহ কাঁদামাটির অন্যান্য পণ্য তৈরি করতে মিত্তিকুল নামে একটি কোম্পানি গড়ে তোলেন মানসুখভাই। তার কোম্পানির তৈরি করা রেফ্রিজারেটরটির দাম পড়ছে মাত্র তিন হাজার টাকা । আর তাতে রেফ্রিজারেটর কেনার বিষয়টি এখন অনেক মানুষেরই হাতের নাগালে চলে এসেছে।
বাষ্পীভবনের বৈজ্ঞানিক নীতি মেনেই রেফ্রিজারেটরটি তৈরি করেছেন মানসুখভাই। তার রেফ্রিজারেটরে কয়েকটি চ্যানেল আছে যেখানে জল বাষ্পীভূত হতে পারে। আর এভাবে যে ঠাণ্ডা তৈরি হয় তা শাক-সবজি এবং ফলমূল তাজা রাখছে। এরইমধ্যে ৪৫ লাখ টাকার মালিক হয়েছে মিত্তিকুল কোম্পানি। আর তাতে কাজ করছেন ৩৫ জন লোক। কেবল ভারতই নয়; মিত্তিকুলের পন্য পৌঁছে যাচ্ছে আফ্রিকা এবং দুবাইয়েও।