January 18, 2025     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular রোজনামচা

সন্তানদের সমুদ্রে ছুড়তে যাওয়া মা-বাবাদের অক্ষমতা নিয়ে যা জানালেন সেনা জওয়ান…

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস :

মুম্বাইয়ে লঞ্চ ডুবির ভয়াবহ অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে শিউরে উঠছিলেন সিআইএসএফের কনস্টেবল অমল সাভান্ত। তার কথায়, “লঞ্চের অনেকটা অংশ ডুবে গিয়েছে। লঞ্চের হাতল ধরে ঝুলছে ছয় সাত টা শিশু। সবার প্রথম ওদেরই উদ্ধার করি। পরে বাকিদের।”

বুধবার দুপুরে ১১৩ জন যাত্রীকে নিয়ে লঞ্চটি মুম্বইয়ের গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়া থেকে এলিফ্যান্টা আইল্যান্ডের দিকে যাচ্ছিল। ৩টে ৫৫ নাগাদ ‘নীলকমল’ নামের ওই লঞ্চটিতে ধাক্কা মারে নৌসেনার একটি ছোট স্পিড বোট। তারপরই উল্টে যায় ও ডুবতে শুরু করে।

লঞ্চডুবির ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এক শিশু-সহ দু’জনের খোঁজ মেলেনি। তাঁদের খোঁজে নৌসেনার ১১ টি বোট এবং তিনটে মেরিন পুলিশের বোট তল্লাশি চালাচ্ছে। নজরদারির কাজে লাগানো হয়েছে চারটি হেলিকপ্টারকেও।

সেই প্রসঙ্গেই বলতে গিয়ে সেদিনের ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে নিজের অভিজ্ঞতা জানান সিআইএসএফের কনস্টেবল অমল সাভান্ত। সংবাদসংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অমল বলেন, “লঞ্চডুবির খবর পেয়ে আমরা সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিলাম। কিন্তু সেখানকার পরিস্থিতি দেখে আমরাও শিউড়ে উঠেছিলাম।”

খানিক থেমে তিনি যোগ করেন, “লঞ্চটা একটু একটু করে ডুবে যাচ্ছে বুঝতে পেরে অনেক বাবা-মা নিজেদের সন্তানদের জলে ছুড়ে দেওয়ার জন্য মনস্থির করেন। যদি জলে ভেসে কোনও মতে বেঁচে যায়! তাই লঞ্চের হাতলেও বাচ্চাদের ঝুলিয়ে দেয় অনেকে। যাতে অন্তত লঞ্চটা ডুবে গেলেও ওরা ভেসে থাকতে পারে!”

ইতিমধ্যে মুম্বইয়ের লঞ্চডুবির ঘটনা নিয়ে একাধিক প্রশ্নের মুখে নৌ সেনা। এবার ঘটনার ভয়াববহ অভিজ্ঞতার বর্ণনা করলেন সিআইএসএফ-এর এক উদ্ধারকারী জওয়ান।

Related Posts

Leave a Reply