কলকাতা টাইমস :
আজও সেই কালো পাথরের রহস্যভেদ করতে পারেননি বিশ্বের তাবড়-তাবড় বিজ্ঞানীরা। মিসরে এক বছর আগে পিরামিডে ভেতরে অনুসন্ধানের সময় রহস্যময় কালো পাথরের সন্ধান পান প্রত্নতাত্ত্বিকেরা। গিজা পিরামিড থেকে ১২ মাইল দক্ষিণে খনন কাজ চালানোর সময় হঠাৎ ধাতব শব্দে কৌতূহলী হয়ে ওঠেন তারা। সতর্কতার সঙ্গে খননের পর তারা দেখতে পান অপূর্ব কারুকার্য খচিত একটি বিশাল আকারের পাথর খণ্ড।
প্রথমদিকে তাদের মনে হয়েছিল, এটি কারো সমাধি। কিন্তু পরক্ষণেই ভুল ভাঙ্গে। প্রায় ১শ’ টন ওজনের পাথরখণ্ডটিতে আর যাই থাক, কারো মরদেহ নেই। কিন্তু কি আছে এই পাথরে? এমন যত্ন করেই বা পাথরের উপর অপূর্ব কারুকার্য করা হয়েছে? অতি সূক্ষ্ণ সেসব কাজের বহর দেখেই বিজ্ঞানীদের মাথা ঘুরে যাওয়ার জোগাড়। হাজার হাজার বছর আগে কারা এমন কারুকাজ করলেন। তাদের কাছে পাথরে অতিসূক্ষ্ণ রেখা টানার যন্ত্রই বা কিভাবে এলো? বিজ্ঞানীদের কারও কারও ধারণা, কালো বাক্সগুলোয় ভিনগ্রহীদের কোনো রহস্য লুকিয়ে রয়েছে।পরীক্ষা করে বিজ্ঞানীরা মোটামুটি নিশ্চিত হলেন যে, কফিনের মতো দেখতে বাক্সগুলি ফারাওদের জন্য তৈরি করা হয়নি। কিন্তু কালো পাথরের অপূর্ব কারুকাজ করা বাক্সগুলি কি তবে কফিন নয়।
বিজ্ঞানীরা পরীক্ষা করে জেনেছেন, যে স্থান থেকে রহস্যময় কফিনটি উদ্ধার করা হয় তা আজ থেকে ৩ হাজার ৩শ’ বছর আগে রামেসিস দ্বিতীয়’এর সময়ে তৈরি। প্রাথমিকভাবে তারা ধারণা করেন, সম্ভবত ওই জায়গায় কবর দেয়া হতো অ্যাপিস বুলস। কেননা প্রাচীন মিসরে এই ষাড়কে দেবতা জ্ঞানে পুজো করা হতো।এমনিতেই মিসরে রহস্যের শেষ নেই! পিরামিড তৈরি নিয়েই এখনও রহস্যে রয়েছেন বিজ্ঞানীরা। দীর্ঘদিন ধরে পিরামিড নির্মাণের নানা কৌশলের কথা বলা হলেও এটা স্পষ্ট যে কোনোটাই যুক্তিযুক্ত নয়। তবে কি বিশ্ব শতাব্দীর আধুনিক বিজ্ঞানের চাইতেও এগিয়ে ছিল প্রাচীন মিসরীয় জ্ঞান?