মশারিতে যখন সারে হার্নিয়া!
কলকাতা টাইমস :
হার্নিয়ার চিকিৎসা এবার অনেকটাই কম ব্যয়সাধ্য হয়ে গেল। উগান্ডার চিকিৎসকরা সেই ব্যাপারে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে দেখিয়েছেন। তাও মশারির জাল ব্যবহার করে!
মশারির জাল কী করে হার্নিয়ার মতো কঠিন অসুখ সারাচ্ছে, সেটা জানার আগে একটু নাড়াঘাঁটা করতে হবে অসুখটা এবং তার প্রতিকার নিয়ে। যখন আমাদের নাড়িভুড়ি পেটের দেওয়াল ভেদ করে নেমে আসে অন্ডথলিতে, তখন তাকেই বলে হার্নিয়া। সাধারণত দু’রকম ভাবে এই অসুখের চিকিৎসা হয়। প্রথম ধাপটাকে বলা হয় হার্নিয়োর্যাফি। এক্ষেত্রে সার্জন একটা ইনসিশন ব্যবহার করে ওই নাড়িভুড়িকে ফের ঠেলে পাঠিয়ে দেন তার নিজের জায়গায়। আর, হার্নিয়োপ্লার্স্টি পদ্ধতিতে সার্জন কুঁচকি সংলগ্ন এলাকায় এক টুকরো সিনথেটিক মেশ বা জাল লাগিয়ে দেন। এই অপারেশনে খরচ পড়ে মূলত ওই সিনথেটিক মেশের দামেই! ফলে, সাধারণ মানুষের পক্ষে সব সময়ে অপারেশন করানো সম্ভব হয় না।
কিন্তু, উগান্ডার চিকিৎসকরা এই জায়গাতেই বিপ্লব ঘটিয়েছেন। দামি সিনথেটিক মেশ ব্যবহার না করে তাঁরা ব্যবহার করছেন মশারির জাল। এবং, তাঁদের এই পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পূর্ণভাবে সার্থকও হয়েছে। কোনও রোগীর শরীরেই কোনো রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায়নি।
ডাক্তাররা জানাচ্ছেন, প্রতিবছর উগান্ডায় হার্নিয়ায় প্রায় ২০,০০০ মানুষ আক্রান্ত হন। তাঁদের মধ্যে খুব অল্পজনেরই চিকিৎসা চালানোর সাধ্য থাকে। কিন্তু, মশারিরক জাল ব্যবহার করায় অনেকেই চিকিৎসা করাতে পারছেন। ফলে, মৃত্যুর হারও অনেক কমে গেছে।
আশা করাই যায়, কিছুদিনের মধ্যে ভারতেও হার্নিয়ার অপারেশনে শুরু হবে মশারির জালের ব্যবহার! ভারতও তো ধনী দেশ নয়। ফলে, এই পদ্ধতির প্রচলন হলে উপকার বই অপকার হবে না!