November 12, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular শারীরিক

ভুলেও শীতে পাঁঠার মাংস খেতে নেই ! নচেৎ …

[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :
বিতর্ক দানা বেঁধেছিল অনেক কাল আগেই। কিন্তু এবার তাতে বিজ্ঞানের সিলমোহর পরল। একদল বিজ্ঞানী অনেক কাল আগে থেকেই বলে আসছিলেন যে শীতকালে পাঁঠার মাংস বা রেড মিট খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। কিন্তু সেকথা তেমনভাবে কান দেয়নি কেউই। কারণ শীতকাল মানেই ভুরিভোজের সময়। আর ভুরিভোজ যখন হচ্ছে, তখন তাতে পাঁটার মাংস থাকবে না, তা কী করে হয়। কিন্তু বন্ধু একথা এখন প্রণামিত হয়ে গেছে যে তাপমাত্রা কম থাকার সময় যতটা সম্ভব রেড মিট কম খাওয়াই উচিত। না হলে কিন্তু…!
আসলে তাপমাত্রা যখন অনেকটা কমে যায়, তখন আমাদের শরীরের অন্দরে নানা পরিবর্তন হতে শুরু করে। সেই সঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যায়। সেই কারণেই তো শীতকালে বিশেষ কিছু খাবার খেতে মানা করেন চিকিৎসকেরা, যার মধ্যে অন্যতম হল পাঁঠার মাংস। বিশেষজ্ঞদের মতো ঠান্ডার সময় শরীরকে চাঙ্গা এবং রোগমুক্ত রাখতে বেশি করে খেতে হবে বাদাম, তুলসি, আদা এবং সবুজ শাকসবজি। আর রোজের ডায়েট থেকে বাদ দিতে হবে যে যে খাবারগুলিকে, সেগুলি হল…
১. রেড মিট: একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে শীতকালে রেড মিটের মতো হাই প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খেলে সর্দি-কাশির হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে বুকে কফ জমার আশঙ্কাও থাকে। তাই তো শীতকালে পাঁঠার মাংস ভুলে বেশি করে খেতে হবে মাছ এবং মুরগির মাংস। এমনটা করলে শরীর তো চাঙ্গা থাকবেই। সেই সঙ্গে রোগভোগের আশঙ্কাও কমবে।
২. হট চকলোটে এবং কফি: ঠান্ডায় শরীরকে একটু উষ্ণতা দিতে অনেকেই আমরা কফির পেয়ালার চুমুক দিয়ে থাকি। আর জেনওয়াইরা বেশিরভাগ সময়ই প্রেফার করে হট চকোলেট শেক। কিন্তু এমন ধরনের খাবার কি বাস্তবিকই ঠান্ডা থেকে আমাদের শরীরকে বাঁচায়? না, একেবারেই কিন্তু এমন ঘটনা ঘটে না। বেশ কিছু কেস স্টাডিতে দেখা গেছে শীতকালে এমন ধরনের পানীয় খেলে শরীরে ক্যাফেইনের পরিমাণ বাড়তে থাকে, যা শরীরকে এত মাত্রায় ডিহাইড্রেট করে দেয় যে মিউকাস জমার আশঙ্কা বেড়ে যায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই শরীর অসুস্থ হয়ে পরে। তাই আসন্ন শীতকালে যতটা সম্ভব কফি এবং হট চকোলেটের মতে খাবার এড়িয়ে চলাই ভাল।
৩. ভাজা খাবার একেবারেই নয়: শীতকালে শরীরকে সুস্থ রাখতে যে যে খাবার এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা, ভাজা খাবার তাদের মধ্যে অন্যতম। কারণ এই সময় নানা কারণে আমাদের হজম ক্ষমতা একটু দুর্বল হয়ে পরে। তার উপর যদি ভাজা জাতীয় খাবার বেশি করে খাওয়া হয়, তাহলে পেট খারাপ হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। তাছাড়া ফ্রায়েড খাবারের মধ্যে ট্রান্স ফ্যাট খুব বেশি পরিমাণে থাকে, যা হার্টের স্বাস্থ্য খারাপ করে দেয়। তাই এমন ধরনের খাবার থেকে যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলাই ভাল।
৪. মরসুমি ফল ছাড়া আর কিছু খাওয়া চলবে না: আজকাল স্টোরেজ ব্যবস্থা এতটা ভাল হয়ে গেছে য়ে সারা বছর ধরেই নানা মরসুমের ফল বাজারে পাওয়া য়ায়। কিন্তু অসময়ের ফল খেতে মানা করছেন চিকিৎসকেরা। তাদের মতে দিনের পর দিন স্টোরেজে থাকার কারণে ফলগুলির মধ্যে থাকা উপকারি উপাদানগুলি নষ্ট হতে শুরু করে। সেই সঙ্গে কিছু ক্ষেত্রে ফলগুলি খারাপও হয়ে যায়। আর এমন সব ফল খেলে শরীরের কোনও উপাকার তো হয়ই না, উল্টে ক্ষতি হয়। তাই শীতের মরসুমে সুস্থ থাকতে শুধুমাত্র তাজা ফলই খাওয়া উচিত।
৫. বেশি মাত্রায় চিনি খাওয়া চলবে না: একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে অনিয়ন্ত্রিত পরিমাণে চিনি বা মিষ্টি জাতীয় খাবার খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধী ব্যবস্থা দুর্বল হতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই রোগভোগের আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। প্রসঙ্গত, ঠান্ডা পরিবেশের কারণে এমনিতেই বছরের এই সময়ে ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাসের প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। তাই তো এমন পরিস্থিতিতে যদি ইমিউন সিস্টেম দুর্বল হয়ে পরে, তাহলে কিন্তু বেজায় বিপদ!
৬. অ্যালকোহল নৈব নৈব চ: অনেকেই মনে করে ঠান্ডার সময় কয়েক পেগ হার্ড ড্রিঙ্কস সেবন করলে শরীর গরম হয়ে যায়। ফসে স্বাভাবিকভাবেই শরীর খারাপ হওয়ার আশঙ্কা কমে। বাস্তবে এমনটা আদৌ ঘটে না! কারণ বেশি মাত্রায় অ্যালকোহল সেবন করলে শরীরের কোনও উপকার তো হয়ই না, উল্টে শরীর শুকিয়ে গিয়ে নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। শুধু তাই নয়, মদ্যপান করার সময় হঠাৎ করে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। তারপর হঠাৎ করে তা কমতে শুরু করে। এমনটা হওয়ার কারণে ঠান্ডা-গরম হয়ে গিয়ে শরীর অসুস্থ হয়ে পরার সম্ভাবনা থাকে।

Related Posts

Leave a Reply