November 14, 2024     Select Language
৭কাহন Editor Choice Bengali KT Popular

ফেসবুকে যে ৭ সহকর্মীকে কখনোই বন্ধু করবেন না

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস : 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুবে অনেক মানুষই আছেন যারা আমাদের পরিচিত। তাদের পোস্ট বা সেলফি ফেসবুকে আমাদের নিউজ ফিডে ঠিকই চলে আসে। কিন্তু তারপরও তাদের ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাওয়ার পরও এড়িয়ে যাই আমরা। কিন্তু সহকর্মীদের ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট এড়িয়ে চলাটা খুব সহজ নয়।

অফিসের কোন মানুষগুলোকে নিজের জীবনের মধ্যে প্রবেশের অনুমতি দিবেন তা ভেবে বের করাও কঠিন। আবার আনফ্রেন্ড করে দেওয়াটাও খারাপ দেখায়। কিন্তু তবুও কিছু সহকর্মীকে এড়িয়ে যেতেই হবে। এখানে দেখে নিন যে ৭ ধরনের সহকর্মীকে ফেসবুকে ফ্রেন্ড করা থেকে বিরত থাকবেন। তারা হলো :

প্রতি মুহূর্তের কাহিনীকার : এ ধরনের মানুষ তার জীবনের প্রতি মুহূর্তের ঘটনাকে কাহিনী বানিয়ে ফেসবুকে দিয়ে থাকেন। যদি তাদের প্রতিটি পোস্ট একত্র করে দেখেন তাহলে হয়তো এমন হবে- ‘আমি খুব সকালে উঠেছি। জেলি দিয়ে দুই পিস পাউরুটি, একটি ডিম, একটি কলা ও এক কাপ চা খেয়েছি।

দ্রুত জামা-কাপড় পরে অফিসের জন্য বের হলাম। অফিসে পৌঁছে দেখি আমার টেবিল পুরোই এলোমেলো…রাত হয়ে গেছে। আমি ক্লান্ত, ঘুমাতে যাই- গুড নাইট’ ইত্যাদি। তাদের প্রতিদিনের জীবন ইতিহাসে লিপিবদ্ধ করেন তারা। এদেরকে অবশ্যই ফ্রেন্ড বানাবেন না।

অস্পষ্টভাবে সহানুভূতিশীল : কিছু মানুষকে সহকর্মী হিসেবে পাবেন যাদের সম্পর্কে অন্যের ধারণা হলো, ওই মানুষগুলো জঞ্জাল। আপনার সঙ্গে তারা হঠাৎ করেই কী নিয়ে কথা বলছেন বা কী বলতে চাইছেন তা বুঝতেই পারবেন না। এদের ফ্রেন্ড করবেন না। তাদের মেসেজের উত্তর দিন। তবে তাদের চার-পাঁচটি নাটকীয় এবং রহস্যময় মেসেজের পর একটি জবাব পাঠাতে পারেন আপনি।

অতি উৎসাহে মাতালপ্রায় : নানা নকশায় দাড়ি ও চুল কাটা, স্কিন জিনস, ভিন্ন ধরনের সিগারেট নিয়ে অদ্ভুত ধরনের স্টাইলিশ তারা। ফ্যাশন হাউজের সামনে তাদের প্রায়ই দেখা যায়। নিজের ‘ও মাই গড’ ধরনের স্টাইল করতে মাতাল তারা। প্রতি মুহূর্তে সেলফি তুলে ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রামে না দিলে খাবার হজম হয় না তাদের।

তাদের দেখলে মনে একটি প্রশ্নই জাগে, এর পরের স্টাইলটি কী হবে? এ ধরনের সহকর্মীরা তাদের যাবতীয় চাল-চলন রেকর্ড করতে সদাব্যস্ত। এদের ফ্রেন্ড করা থেকে এড়িয়ে চলুন। তা ছাড়া তাদের সব খবর তো দেখতেই পারছেন।

জেদি নিমন্ত্রণকারী : ফেসবুকে নানা গেম বা গ্রুপগুলোকে আপনি ব্লক করেও রাখতে পারেন। কিন্তু তাতে এ ধরনের সহকর্মীর মাথায় আকাশ ভেঙে পড়বে। ‘কি বলছেন আপনি, ভার্চুয়াল ফার্মিং খেলেননি, বন্ধুদের সঙ্গে অনলাইন পাজল খেলেননি, পাগল নাকি আপনি। আমি এখুনি দেখিয়ে দিচ্ছি আর শিখিয়ে দিচ্ছি। পরে আমার সঙ্গে খেলতে পারবেন…’, এভাবে পাগল বানিয়ে দেবে আপনাকে। কাজেই এদের ফেসবুক ফ্রেন্ড বানানোর প্রশ্নই ওঠে না।

ঘোষণাকারী : এক সেলিব্রিটির মর্মান্তিক মৃত্যুর খবরটি এই পৃথিবীতে প্রথম আপনারই এক সহকর্মীর মাধ্যমে ছড়িয়ে গেছে। এই খবরে তিনি মর্মাহত এবং ভেঙে পড়েছেন, যদিও আপনি আদৌ সেই সেলিব্রিটিকে চিনতে পারছেন কিনা সন্দেহ রয়েছে।

এ ধরনের মানুষরা যেকোনো ঘোষণা দিতে পছন্দ করেন। এমনকি কোনো ছবির অংশও হতে পারে। ভয়ংকর ভিলেন নায়ককে বারবার আক্রমণ করছে। তাকে ঠেকানোর দায়িত্ব যেন বর্তেছে আপনার এই সহকর্মীর ওপর। কাজেই তাকে ফ্রেন্ড লিস্ট থেকে দূরে রাখাই ভালো।

ষড়যন্ত্রের রূপক : এক সহকর্মী কোণার টেবিলে চুপচাপ বসে থাকেন আর অনুসন্ধানী প্রতিবেদন তৈরিতে ব্যস্ত থাকেন। বাস্তবজীবনে তাদের স্বাভাবিক বলেই মনে হয়। কিন্তু ফেসবুকে পোস্টে তাদের অতিপ্রাকৃতিক গাম্ভীর্য এবং উদ্ভট আচরণ বেশ মজার। তাদের ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট আসলে তা আনফ্রেন্ড করা সম্ভব নয়। কিন্তু ফ্রেন্ড বানানো ভুল সিদ্ধান্ত হবে।

চিরস্থায়ী ভিকটিম : জীবনটা পুষ্পশয্যা নয়। এখানে নানা টানাপড়েন রয়েছে। কিন্তু আপনার এই সহকর্মীর বিষয়টি ভিন্ন। এরা ব্যাপক সাহসীকতা নিয়ে সকালে ঘুম থেকে ওঠেন এবং গোটা দিনে কোনো ব্যর্থতা ছাড়াই তাদের মাথায় কী কারণে যেন আকাশ ভেঙে পড়ে। তারা প্রতিনিয়ত এই পৃথিবীর কাছ থেকে এমন কিছু পাচ্ছেন যা তাদের ভেঙে টুকরো টুকরো করে দিচ্ছে। অথচ তেমন কিছু আপনার চোখে পড়বে না। একমাত্র তারাই জানেন, কী ঘটেছে অথবা কোন ঘটনাকে কীভাবে নিলে এমন হয়। ফেসবুকে এদের একবার বন্ধু বানিয়েছেন তো আপনার মাথায় প্রতিনিয়ত আকাশ ভেঙে পড়তে থাকবে।

Related Posts

Leave a Reply