যেচে আসা এই ৭ জিনিসকে অবহেলা করেছেন কি কপাল পুড়ল
কলকাতা টাইমস :
প্রাচীন ভারতীয় সভ্যতার কর্তব্য ও অকর্তব্য বিষয়ক বিধানসমূহ সংকলিত হয় স্মৃতিশাস্ত্রগুলিতে। এই স্মৃতিশাস্ত্রগুলির মধ্যে ‘মনুস্মৃতি’ই সব থেকে মান্যতাপ্রাপ্ত। পথে পড়ে থাকা সম্পদ অথবা বিনাশ্রমে লব্ধ অর্থ বিষয়ে কড়া নিষেধ জারি করে একাধিক স্মৃতি। কিন্তু ‘মনুস্মৃতি’ ৭টি বিষয়কে একেবারেই আলাদা চোখে দেখে। এই মহাগ্রন্থ জানায়, এই সাতটি জিনিস জীবনে প্রবেশ করলে তাদের স্বাগত জানানোই বুদ্ধিমানের কাজ। এদের অবহেলা করলে জীবন অপূর্ণ থেকে যেতে পারে। জেনে নেওয়া যেতে পারে এগুলির বিবরণ-
১. রত্ন : জীবনে যদি রত্ন যেচে আসে, তাকে ফেরাতে নেই। জানতে হবে, এই রত্ন দৈব-প্রেরিত। আপনার প্রয়োজন বলেই এই রত্ন আপনার হাতে এসেছে।
২. জ্ঞান : কোনও দিনই জ্ঞানকে ফেরাতে নেই। তা যাচিতই হোক আর অযাচিতই হোক। সেই মুহূর্তে কাজে না লাগলেও পরে যে ‘পড়ে পাওয়া’ জ্ঞান কাজে আসবে না, তা কে বলতে পারে!
৩. ধর্ম : ধর্ম মানে এখানে ‘রিলিজিয়ন’ নয়, বরং ধর্মজ্ঞান, কর্তব্য-অকর্তব্য সম্পর্কিত বোধ। এই বোধ যদি না চাইতেই পাওয়া যায়, তা হলে ফেরানোর কোনও প্রশ্ন নেই।
৪. পবিত্রতা : এটি একটি অনুভূতি। পবিত্রতার বোধ একবার জীবনে এলে তাকে ছুড়ে ফেলা অন্যায়। এই বোধ থেকেই শুরু হতে পারে আপনার উচ্চতর অনুভবের দিকে যাত্রা।
৫. উপদেশ : কোনও উপদেশই না-ফেরাতে নির্দেশ দিয়েছে ‘মনুস্মৃতি’। কখন কোন উপদেশ কাজে আসতে পারে, তা কেউ আগে থেকে জানতে পারেন না।
৬. শিল্পবস্তু : একে ফেরালে পরে আফশোস করতে হতে পারে। শিল্পবস্তু শুধু মহার্ঘ্যই নয়, তার সঙ্গে মিশে থাকে যত্ন, শ্রম ও নন্দনবোধ। একে ফেরালে সেই সবকে অপমান করা হয়।
৭. গুণী নারী : গুণসম্পন্না নারী যদি যেচে জীবনে আসতে চান, তাঁকে আসতে দিন। তাঁর সাহচর্যে আপনার জীবন বদলে যেতে পারে। এমন নয় যে তিনি আপনার প্রেমিকা বা স্ত্রী হবেন, তিনি আপনার বন্ধুও হতে পারেন।