অফিসে এই কথা বলেছেন কি হয়ে গেল….
কলকাতা টাইমস :
অফিসে সহকর্মীদের সঙ্গে সদ্ভাব গড়ে ওঠা বিচিত্র নয়। বন্ধুসুলভ সম্পর্ক কর্মপরিবেশকে উপভোগ্য করে তোলে। কিন্তু ক্যারিয়ার বিশেষজ্ঞরা বলেন, সম্পর্ক যতই ভালো হোক কিছু বিষয় আছে যা অফিসে আলোচনা করা উচিত নয়। এতে হয়ত আপনি কোনো অস্বস্তিকর অবস্থায় পড়তে পারেন, কিংবা অন্যের আবেগে আঘাত করতে পারেন। এখানে জেনে নিন সেই বিষয়গুলো।
রাজনীতি
ধরুন, অফিসের কেউই রাজনীতি করেন না। তবুও রাজনৈতিক দর্শন সবার মনেই থাকে। তাছাড়া এতে অনেক বিতর্কিত বিষয়ে থাকে যা নিয়ে আলোচনা শোভনীয় নয়। বর্তমান সরকারব্যবস্থা নিয়ে আপনি হয়তো তুষ্ট। কিন্তু পাশের সহকর্মী অসন্তুষ্টও হতে পারেন। এ নিয়ে গঠনমূলক আলোচনা চলতে পারে। কিন্তু তর্ক-বিতর্ক মোটেও নয়। অফিসে কোনো ধরনের আলোচনাই আসলে নিরাপদ নয়।
ধর্ম
এটা মানুষের নিজের বিশ্বাসের বিষয়। এগুলো নিয়ে কোনো কটাক্ষ না আপত্তিকর কথা বলবেন না। আপনি যে ধর্মেরই হোন না কেন, অন্য ধর্মের মানুষকে তার ধর্ম পালনে বাধা প্রদান করার কথা কোনো ধর্মই সমর্থন করে না। এগুলো নিয়ে কথা-বার্তাই ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতির দিকে নিতে পারে।
ব্যক্তিগত সমস্যা
কাছের বন্ধুর সঙ্গে এসব কথা বলা যায়। কিন্তু অফিসে যত কাছের সহকর্মীই হোক না কেন, একান্ত বিষয় নিয়ে আলাপ করতে হয় না। এগুলো নিজের মধ্যেই রাখুন। অনেকে ক্ষেত্রেই আপনার দুর্বলতা প্রকাশ পাবে। এটি বিপজ্জনক।
স্বাস্থ্য সমস্যা
বিশেষ রোগ থাকতে পারে। এগুলো নিয়ে অফিসে আলোচনা না করাই ভালো। দেহে কী রোগ বাসা বেঁধেছে তা সবার জানার কী দরকার? তবে জরুরি অবস্থায় পরামর্শের জন্যে কারো সঙ্গে কথা বলতেই পারেন।
ক্যারিয়ারে আকাঙ্ক্ষার কথা
আপনি উচ্চাকাঙ্ক্ষী হতে পারেন। ভবিষ্যত নিয়ে পরিকল্পনা থাকতে পারে। এগুলো অফিসের কারো সঙ্গে শেয়ার করতে যাবেন না। অনেকে আছেন যারা আপনার পরিকল্পনায় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেন। কার মনে কী আছে আপনি তা জানেন না। তাই ভবিষ্যতের পরিকল্পনা নিজের মধ্যেই রাখুন।