নতুন মানুষের দেখা মিলবে আসছে ২০৫০ সালে!
কলকাতা টাইমস :
সেই কবে উন্নত সভ্যতার দিকে যাত্রা করেছিল বর্তমান মানুষের প্রজাতি হোমো সেপিয়েন্স৷বিবর্তনের নিয়ম মেনে মানুষের ডিএনএ-র পরিবর্তন ঘটতে সময় লেগে গেছে ১.৫ থেকে ২ লক্ষ বছর৷ এবার আর অত সময় নেবে না৷ বেলজিয়ামের গ্লোবাল ব্রেইন ইনস্টিটিউটের গবেষক ক্যাডেল লাস্ট এমনই দাবি করেছেন৷ ২০৫০ সালের মধ্যেই নাকি আলাদা প্রজাতির মানুষের উদ্ভব ঘটতে পারে৷
ক্যাডেল লাস্টের দাবি, ক্রমবর্ধমান নতুন প্রযুক্তির প্রভাবে মাত্র চার দশকের মধ্যেই সম্পূর্ণ নতুন প্রজাতির মানুষ দেখা যাবে৷ তার রচিত হিউম্যান এভোলিউসন, লাইফ হিস্ট্রি থিয়োরি, অ্যান্ড দ্য এন্ড অব বায়োলজিক্যাল রিপ্রোডাকশন নামের বইটি সম্প্রতি কারেন্ট এজিং সায়েন্স পত্রিকাতে প্রকাশিত হয়েছে৷
এই গবেষণাপত্রে তিনি দাবি করেছেন, বর্তমানে মানব প্রজাতি বিশাল বিবর্তনজনিত রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে৷মাত্র চার দশকের কম সময়ে মানুষ আরও বেশি দিন বাঁচার সক্ষমতা পাবে৷ এছাড়া মানুষ ওই সময় ভার্চুয়্যাল রিয়েলিটির জগতে অনেক সময় পার করবে৷
মানুষের এই পরিবর্তন এতটাই অর্থপূর্ণ হবে, যাকে বানর থেকে মানুষের বিবর্তন প্রক্রিয়ার সঙ্গে তুলনা করা চলে৷ তাছাড়া বিবর্তন নিয়ে যারা গবেষনা করছেন তাদের অনেকেই বলছেন ২০৫০ সাল নাগাদ মানুষের আয়ু হবে ১২০ বছর৷ ২০৫০ সাল নাগাদ মানুষের যৌনজীবন আরও দীর্ঘায়িত হবে৷ মানুষ তাদের জীবনের ব্যাপ্তিকে ধীরে ধীরে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে এবং দীর্ঘদীন বাঁচতে চাইবে৷
এ প্রসঙ্গে গবেষক লাস্টের যুক্তি, ‘‘ইতিমধ্যে আমরা পরিবর্তন লক্ষ করেছি৷ যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একজন মহিলা গড়ে ২৯.৮ বছরে প্রথম শিশুর জন্ম দিচ্ছে৷ সত্তরের দশকে যুক্তরাষ্ট্রে ৩৫ বছরের বেশি বয়সী মহিলার ক্ষেত্রে মাত্র ১ শতাংশ মহিলাকে প্রথম সন্তান নিতে দেখা যেত৷ ২০১২ সালে তা ১৫ শতাংশে পৌঁছেছে৷