November 22, 2024     Select Language
৭কাহন Editor Choice Bengali KT Popular সফর

রহস্যে ঘেরা নিউপোর্ট টাওয়ার !

[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :
পৃথিবীতে রহস্যময় স্থানের কোনও সীমা নেই। তবে এর মধ্যে বেশ কিছু রহস্যময় স্থান বা স্থাপনা আছে যা মানুষকে সব সময়ই ভাবিয়ে তুলে। বিশেষ করে প্রাচীন আমলে তৈরি করা অনেক প্রাসাদ বা স্থাপত্য নিদর্শন রয়েছে যেগুলোর প্রকৃত ইতিহাস সবার কাছে আজও অজানা।
আর তেমনই রহস্যময় একটি স্থাপনার নাম নিউপোর্ট টাওয়ার। এর আরও কয়েকটি নাম আছে-রাউন্ড টাওয়ার, নিউপোর্ট স্টোন টাওয়ার বা ওল্ড স্টোন মিল। সম্পূর্ণ গোলাকার আকৃতির প্রাচীন এই টাওয়ারটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রোদ দ্বীপের নিউপোর্ট এলাকার টাউরো পার্কে অবস্থিত। আর এই টাওয়ারটি নিয়ে যত রহস্য !
সম্পূর্ণ পাথরের তৈরি এই টাওয়ারটি নির্মাণ করা হয় ১৭ শতকের মাঝামাঝি সময়ে। উত্তর-দক্ষিণ দিক থেকে এর ব্যাস ২২ ফুট ২ ইঞ্চি এবং পূর্ব-পশ্চিম দিক থেকে ২৩ ফুট ৩ ইঞ্চি। উচ্চতা ২৮ ফুট। একসময় এ টাওয়ারের দেয়ালগুলো সাদা প্লাস্টার করা ছিল। এখনও বাইরের দেয়ালে তার কিছু নমুনা দেখা যায়।
টাওয়ারটি দাঁড়িয়ে আছে আটটি কলামের ওপর, যার মধ্যে দুটি কলাম অন্য ছয়টি কলামের চেয়ে আকারে বড়। কলামগুলোর গায়ে দাগ কেটে আঁকা হয়েছে নানা প্রজাতির প্রাণীর ছবি, নাম ও আরও অনেক চিত্র। টাওয়ারের দেয়ালগুলো শক্ত ও পুরু করে তৈরি করা। এর প্রতিটি দেয়াল ৩ ফুট পুরু।
টাওয়ারটির অভ্যন্তরের ব্যাস প্রায় ১৮ ফুট। এ টাওয়ারে মোট ৭টি জানালা আছে। যার মধ্যে টাওয়ারের অভ্যন্তরে রয়েছে চারটি এবং এর উপরের স্তরে রয়েছে ছোট আরও তিনটি জানালা । এই টাওয়ারের পাশে ছোট-বড় আরও কিছু টাওয়ার রয়েছে। যেগুলো বিভিন্ন সময়ে তৈরি করা হয়েছে।
জানা গেছে, ১৭৪১ সালে এ টাওয়ারটি ব্যবহৃত হত পাথরের মিল হিসেবে। ১৭৬৭ সালে এটি পাউডারের মিল হিসেবে ব্যবহার করা হত এবং আমেরিকান বিপ্লবের সময় এই টাওয়ারকে বানানো হয়েছিল ক্যাম্প ও ওয়াচ টাওয়ার।
এই বিপ্লবের পর থেকে এই টাওয়ারকে রহস্যময় টাওয়ার বলা হয়। জিম ব্রানডন নামের একজন আমেরিকান গবেষক ও প্রকৌশলী নিউপোর্ট টাওয়ারকে কেন রহস্যজনক টাওয়ার বলা হয় এর কারণ অনুসন্ধান করার চেষ্টা করেছেন। তিনি প্রাচীন এই টাওয়ারের নানা উপকরণ, লেখা, কারুকাজ নিয়ে প্রায় এক বছর গবেষণা করে দেখেছেন, নিউপোর্ট টাওয়ারটি যে পাথর দিয়ে তৈরি করা হয়েছে তা প্রাচীন চুম্বক জাতীয় পাথর।
এই চুম্বক জাতীয় পাথরের গায়ে রয়েছে চৌম্বক ক্ষমতা যা সহজেই লৌহ জাতীয় পদার্থকে আকৃষ্ট করতে পারে। ম্যাগনেট ছাড়াও টাওয়ারের ৩য় ও ৪র্থ তলায় পাওয়া গেছে মানুষের পায়ের চিহ্ন, প্রাচীন নকশা, মানুষের মাথার খুলি। এসব থেকে অনুমান করা হয়, প্রাচীনকালে বা আমেরিকান বিপ্লবের সময় এই টাওয়ারটিতে মানুষ হত্যা করা হত।
অপরাধীকে এখানেই ফাঁসিতে ঝুলানো হত। অতি উৎসাহী অনেকে বলে থাকেন, গভীর রাতে নিউপোর্টে কান পেতে থাকলে এখনও শোনা যায় কান্নার শব্দ । এই নিউপোর্ট টাওয়ারটিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম প্রাচীন একটি স্থাপনা হিসেবে গণ্য করা হয়ে থাকে। ফলে এই স্থাপনাকে ঘিরে মার্কিনদের রয়েছে বিশেষ আগ্রহ।
আর একই ধরনের স্থাপনা বিশ্বের কয়েকটি স্থানে থাকার কারণে অনেকে এটিকে রহস্যময় হিসেবে মনে করেন। তবে ছবিতে দৃশ্যমান এই স্থাপনাকে কেন্দ্র করে কোনও রহস্য আছে কিনা বিশ্বের পরাশক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও তা আবিষ্কার করতে পারেনি

Related Posts

Leave a Reply