ইরানের ফুটবলারদের জুতো দেবে না নাইকি! বিশ্বকাপের ২ দিন আগে ঘোষণা
নিউজ ডেস্কঃ
ফুটবল বিশ্বের সেরা তারকাদের লড়াইয়ের মঞ্চ প্রস্তুত। প্রস্তুত ৩২টি দেশের খেলোয়াড় ও ভক্ত-সমর্থকরা। প্রস্তুত রাশিয়ার মস্কোর লুঝনিকি স্টেডিয়ামও। কারণ এই স্টেডিয়ামেই যে বৃহস্পতিবার পর্দা উঠবে রাশিয়া বিশ্বকাপের। প্রতিটি দল যখন শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত, ঠিক সেই সময় নতুন দুশ্চিন্তায় পড়লো ইরান। মাত্র দু’দিন আগে ইরানের অফিসিয়াল কিটস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান নাইকি জানিয়ে দিয়েছে, ইরান জাতীয় দলকে জুতো দেবে না তারা।
মূলত নাইকির এই সিদ্ধান্তের পেছনে রয়েছে আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক প্রভাব। ফুটবল দুনিয়ায় মার্কিন প্রতিষ্ঠান নাইকির তৈরি বুটের দারুণ কদর। দীর্ঘদিন থেকে ইরানও তাদের থেকেই বুট সংগ্রহ করছে। এমনকি ২০১৪ ব্রাজিল বিশ্বকাপেও ইরান নাইকির বুট পরেই মাঠে নেমেছে। রাশিয়া বিশ্বকাপের জন্যও সেখান থেকেই বুট আসার কথা ছিলো। কিন্তু বিশ্বকাপের মাত্র দু’দিন আগে নাইকি জানিয়েছে, ইরানের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক অবরোধের কারণেই তারা বুট সরবরাহ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে করা পারমাণবিক চুক্তি সম্প্রতি বাতিল করেছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর এই কারণেই নাইকির এমন সিদ্ধান্ত।
তবে ২০১৪ ব্রাজিল বিশ্বকাপের সময় অর্থনৈতিক অবরোধ থাকলেও নাইকি ইরানি দলকে ক্রীড়া সামগ্রী দিয়েছিল। শেষ মুহূর্তে বুট না পাওয়ায় ভীষণ দুশ্চিন্তায় পড়েছে ইরানি ফুটবল ফেডারেশন। এমনকি ফিফার সাথেও এই বিষয়ে কথা বলেছে তারা। ইরানের কোচ হতাশা ও বিরক্তি প্রকাশ করে সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘আমাদের খেলোয়াড়েরা যে সব সরঞ্জামে অভ্যস্ত, সেটা যদি মূল আসরের ৩/৪ দিন আগে পরিবর্তন করা হয়, সেটা অন্যায়। সেই পরিবর্তনটা ঠিক নয়।’
শেষ মুহূর্তে নতুন বুট সংগ্রহ করাও সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন কোচ। আপাতত পুরোনো ও ধার করা বুট দিয়েই চলছে ইরানের বিশ্বকাপ প্রস্তুতি। মূল লড়াইয়েও হয়তো পুরনো বুট পায়ে দিয়েই নামতে হবে তাদের। ১৫ জুন মরক্কো ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করবে ইরান। ‘বি’ গ্রুপে তাদের অন্য দুই প্রতিপক্ষ স্পেন ও পর্তুগাল।