১৫ বছরেও টের পায়নি কেউ! নিজের ঘরে মরে মমিতে পরিণত মহিলা

কলকাতা টাইমস :
এই-দুই দিন নয় ১৫ বছর আগে তিনি মারা গেছেন ঘরের মধ্যেই। অথচ কিন্তু তারপরও তিনি নিয়মিত তার ফ্ল্যাটের ভবনের মেইনটেনেন্স ফি, নতুন ছাদের জন্য অতিরিক্ত খরচ, জলের বিল এবং ভবনের অন্যান্য চার্জ পরিশোধ করে যেতেন নিয়মিত! যদিও নিথর দেহ পরিণত হয়েছে মমিতে। অথচ এতগুলো বছরে তার আত্মীয়-পরিজন কেউ টের পান নি বিষয়টি। এমনি আশ্চর্যের ঘটনার সাক্ষী স্পেনের মাদ্রিদে শহর।
ইসাবেলা রিভেরা ১৫ বছর আগেই মারা গিয়েছিলেন। তার সমস্ত বিল পেমেন্টস হট তার অ্যাকাউন্ট থেকে। সেখানে তার পেনশনের টাকা জমা হতো। এমনকি ভোট জরিপ অফিস থেকে তাকে চিঠি পাঠানো হয়েছে আগামী ১৯ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনে কোন কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে হবে সে বিষয়ে। অথচ তিনি ১৫ বছর আগেই মরে পড়ে আছেন তার অ্যাপার্টমেন্টের বাথরুমে। কিন্তু তার প্রতিবেশিরা কেউ তা টের পায়নি।
গত মঙ্গলবার পুলিশ ওই নারীর ফ্ল্যাটের বাথরুম থেকে তার মমি হয়ে যাওয়া দেহটি উদ্ধার করে। ওই বৃদ্ধার এক ভাইঝি পুলিশকে তার ফুফির অদৃশ্য হওয়ার বিষয়টি জানানোর পর পুলিশ তার বাড়িতে ঢোকে। রিভেরার ফ্ল্যাটে ঢোকার দরজাটি ভেতর থেকে বন্ধ ছিলো। ফলে ব্যালকনি দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে পুলিশ উদ্ধারকর্মীরা।
পলিসি জানায় স্নান করার সময় বাথরুমেই তার স্বাভাবিক মৃত্যু হয়। এরপর গত ১৫ বছর ধরে তার লাশ সেখানেই পড়ে ছিলো। বাথরুমের তাপমাত্রা ও পরিবেশ তার দেহকে মমিতে রুপান্তরে সহায়ক হয়েছে।
ডাক্তাররা জানিয়েছেন ১৪-১৬ বছর আগে তার মৃত্যু হয়েছে। ৮০ বছর বয়স পূর্ণ হয়নি তার। ১৯২৬ সালে জন্ম হয় রিভেরার। আর হোসে ডেল হিয়েরো নামের সড়কের ওই অ্যাপার্টমেন্টে ১৯৬৫ সাল থেকে বসবাস করতেন তিনি।২০০৪ সালের সেপ্টেম্বরে তাকে সর্বশেষ প্রকাশ্যে দেখা গিয়েছিলো। ওদিকে এর আগেই তাদের বাড়িতে ইন্টারকম ফোন লাগানো হয়। ফলে দারোয়ানকেও চাকরি থেকে ছাড়িয়ে দেওয়া হয়। আর নয়তো দারোয়ান থাকলে হয়তো তার মৃত্যুর বিষয়টি বুঝতে পারতো।