কেউ জানে না তিনি কত অগাধ সম্পদের মালকিন !
কলকাতা টাইমস :
ইংল্যান্ডের রানী কতটা ধনী? পুরনো দিন হলে এটা কোনো প্রশ্নই হতো না। কারণ রাজা এবং তার সঙ্গে তার রানী তো পুরো রাজ্যেরই মালিক, তার আবার ধনী-গরিব কিসে?
তবে সেসব দোর্দণ্ডপ্রতাপ রাজা-রানীর দিন যেহেতু এখন নেই, সেহেতু এখন রাজা-রানীকেও রাষ্ট্রের কোষাগারে কর দিতে হয়। কারণ রাজা এখন অলঙ্কারমাত্র। সব ব্যাপারেই প্রজাদের মতোই রাষ্ট্রের কাছে জবাবদিহি করতে হয়।
রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ গত বছর ক্রাউন এস্টেট থেকে ২৮ কোটি ৫০ লাখ পাউন্ড পেয়েছিলেন। এ বছর সরকারি কোষাগার থেকে পাবেন ২০ লাখ পাউন্ড; কিন্তু কথা হলো, তিনি ঠিক কতটা ধনী?
এ নিয়ে অবশ্য বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় জল্পনা-কল্পনা বেরিয়েছিল। কিন্তু আসলে তার ধনসম্পদের পরিমাণ বা তিনি কী পরিমাণ ধনী, তা স্পষ্ট হয়ে ওঠেনি। এর কারণ হলো, রানীকে তার ব্যক্তিগত সম্পদের পরিমাণ কত, তা ঘোষণা করতে হয় না।
তবে সানডে টাইমস পত্রিকার দেওয়া ধনীর তালিকা অনুযায়ী রানীর সম্পদের পরিমাণ ৩৪ কোটি পাউন্ড। এর আগের বছর যা ছিল ৩৩ কোটি পাউন্ড। রানীর দু’ধরনের আয় রয়েছে। একটা হলো রানী হিসেবে, অন্যটা একজন নাগরিক হিসেবে। মূলত ক্রাউন এস্টেট থেকে প্রাপ্ত আয়ই তাকে ধনীর তালিকায় ঢুকিয়েছে।
বর্তমান রানী এলিজাবেথ দ্বিতীয় ইংল্যান্ডের সিংহাসনে বসেন ১৯৫২ সালে। তিনি সিংহাসনে বসার পর থেকেই মধ্যপ্রাচ্যের ধনকুবেররা ইংল্যান্ডে ব্যবসা করতে আসেন এবং তাদের হাত ধরেই অনেকে রাতারাতি বিলিওনার হয়ে যান।
এর আগে ইংল্যান্ডের সাবেক রানীর সময় বিদেশি বিনিয়োগকারীদের ইংল্যান্ডে বিনিয়োগ করার ক্ষেত্রে অনেক নিয়মকানুনের ভেতর দিয়ে যেতে হতো। কিন্তু বর্তমান রানী ক্ষমতায় বসার পর বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বজায় থাকা সাবেক অনেক আইন রহিত করেন, আর এই সুযোগ কাজে লাগায় ইংল্যান্ডের অনেক উচ্চপদস্থ পরিবার যারা দীর্ঘদিন ধরেই রানীর আস্থাভাজন হয়ে কাজ করে যাচ্ছিলেন।
বর্তমানে মাইক্রোসফ্টের সহকারী প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসের সম্পদের পরিমান প্রায় সাড়ে পঞ্চশ বিলিয়ন পাউন্ড। এছাড়াও বিশ্বে আরও দশজন স্বনামধন্য ধনী রয়েছেন যাদের অর্থের পরিমান কয়েক বিলিয়ন পাউন্ডের বেশি। তবে ইংল্যান্ডের এই রানীর প্রদর্শিত সম্পদের পাশাপাশি রয়েছে বিপুল অপ্রদর্শিত সম্পদ। যেমন ধরা যাক, গোটা ইংল্যান্ডের পর্যটন খাত থেকে প্রাপ্ত অর্থের কথাই।
প্রতিবছর বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে বিপুল পরিমান পর্যটক স্রেফ ইংল্যান্ডের বাকিংহ্যাম প্যালেস দেখতেই আসেন। রাজপ্রাসাদের পাশাপাশি যতগুলো ব্রিটিশ জাদুঘর রয়েছে তার সবগুলো থেকে বছরে যা আয় হয় তা সম্পূর্ণ আয়করের আওতামুক্ত এবং সরাসরি রানীর কোষাগারে জমা হয়।