ফেরৎ দেয়নি কেউ, ভাড়াটিয়া খুনী দিয়ে নিজেকেই খুন
কলকাতা টাইমস :
নাটক নয় বাস্তব। কিন্তু বিশ্বাস হবে না। ঋণ নিয়ে নয় ঋণ দিয়ে নিজেকে কেউ এভাবে মৃত্যু দিতে পারে তা সত্যিই বিশ্বাসযোগ্য নয়। রাজস্থানের ভিলওয়ারা জেলার বাসিন্দা বলবীরের ধারের কারবার। ঋণের দায়ে নয়, ঋণ অনাদায়ে জীবন শেষ করার কথা ভাবলেন বলবীর। ২০ লক্ষ টাকা ধার দিয়েছেন নানা জনকে। ছয় মাসে কেউ এক টাকাও ফিরে পাননি। বলবীর ঠিক করে নেন করণীয়। মাসখানেক আগে বেসরকারি ব্যাংক থেকে ৫০ লক্ষ টাকার একটা জীবনবিমা করালেন। প্রথম মাসের প্রিমিয়ামও জমা দিলেন। এবার শুরু হল তার পৃথিবী ছাড়ার সাধনা। বাড়িতে মা-বাবা-স্ত্রী-সন্তান আছেন। বলবীর মারা গেলে ওই ৫০ লক্ষ টাকায় জীবন কাটাতে পারবেন তারা, এই ছিল ভাবনা।
রাজবীর সিংহ আর সুনীল যাদবকে জেরা করে চমকে উঠেছিল পুলিশ। বলবীর খারোল (৩৮) নামে এক ব্যক্তিকে খুনের দায়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন দুজন। বলবীরের কল রেকর্ড আর সিসিটিভি ফুটেজ দেখেই রাজবীর-সুনীলকে পাকড়াও করা হয়েছে। পুলিশের কাছে তাদের দাবি, হত্যাকাণ্ডের শিকার বলবীরই তাদের নিয়োগ করেছিল নিজেকে খুন করানোর জন্য!
সুনীলরাই পুলিশকে জানিয়েছে, বলবীর প্রথমে চেয়েছিলেন তার মৃত্যু হোক পরিকল্পিত দুর্ঘটনায়। পরিকল্পনামাফিক এগিয়ে ছিলেন কিছু দূর। কিন্তু যদি শেষমেশ বেঁচে যান কোনো মতে? এই আশঙ্কা তাকে ফিরিয়ে আনল। কোনো ঝুঁকি না নিয়ে নিজেকে একেবারে শেষ করে দেওয়ার সিদ্ধান্তই নিয়ে ফেললেন তিনি। ডাক পড়ল রাজবীর আর সুনীলের। রফা হল, কাজটা হলে ৮০ হাজার টাকা পাবে ওরা।
২ সেপ্টেম্বর ওদের সঙ্গে দেখা করে বলবীর প্রথমে ১০ হাজার টাকা আগাম দিলেন। তারপর তিনজন মাংরোপ এলাকার একটা ফাঁকা জায়গায় চলে গেলেন। বলবীর বলে রাখলেন, বাকি টাকাটা তার পকেটে আছে। তাকে খুন করে যেন টাকাটা ওরা নিয়ে নেয়। নির্দেশ মতোই রাজবীর তার হাত-পা বেঁধে ফেলল। সুনীল শ্বাসরোধ করে বাকি কাজটুকু সেরে দিল। সোমবার ধরা পড়েছে সুনীলরা। মঙ্গলবার পুলিশ সুপার হরেন্দ্র মাহাওয়ার সংবাদমাধ্যমকে বললেন, অত্যাশ্চর্য ব্যাপার। কিন্তু ওরা এই কথাই বলল।