এই ছোটদের লিখিত পরীক্ষা উঠে যাচ্ছে ! প্রস্তাব এনসিএফের
কলকাতা টাইমস :
ছোটদের পিঠে বাড়তে থাকা ব্যাগে বইয়ের বোঝা। সারা বছর জুড়ে নানান পরীক্ষা। আর এই সময়ই নতুন জাতীয় শিক্ষানীতির ভিত্তিতে ন্যাশনাল কারিকুলাম ফ্রেমওয়ার্ক তথা এনসিএফপ্রস্তাব দিল, ক্লাস টু পর্যন্ত লিখিত পরীক্ষা বন্ধ করে দেওয়া হোক ।
জাতীয় স্তরে পাঠ্যক্রম কী হবে সে ব্যাপারে একটা সার্বিক ধাঁচা তৈরি করার জন্য এনসিএফকে দায়িত্ব দিয়েছে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক। তারা গত কয়েক মাস ধরে একাধিক সমীক্ষা চালিয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, শিশু পাঠ্যক্রমকে যদি খেলার ছলে পড়ার উপযুক্ত না করে তোলা যায় তাহলে শিশুদের যথাযথ বৌদ্ধিক বিকাশ ঘটবে না।
এনসিএফের এক কর্তা সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, ‘ক্লাস টু পর্যন্ত শিশুরা যে বৌদ্ধিক স্তরে থাকে তাতে তাদের লিখিত পরীক্ষা নেওয়া উচিত নয়। বরং তার বাইরে গিয়ে তাদের আগ্রহ, উৎসাহের ক্ষেত্রগুলি চিহ্নিত করা প্রয়োজন। মুখে মুখে বলে বলে শেখানো, শোনানোর মধ্যে দিয়ে বোধ তৈরি করার পাঠ-কৌশল নেওয়া উচিত।’
সেইসঙ্গে বলা হয়েছে, ক্লাস টু পর্যন্ত ছেলেমেয়েদের ক্লাস রুম, পড়াশোনার পরিকাঠামো কেমন হওয়া উচিত। অর্থাৎ স্কুলকে যাতে তাদের বদ্ধ না লাগে। কখনও যেন মনে না হয়, স্কুল বা ক্লাস মানেই ভয়ের ব্যাপার।
লিখিত পরীক্ষা হলে মানসিক চাপ তৈরি হতে পারে। যা ক্লাস টু পর্যন্ত বাচ্চাদের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক। স্বল্প মেয়াদে সে ব্যাপারে কিছু মালুম না হলেও সেই শিশু যখন কৈশোরে পৌঁছবে তখন তার মধ্যে এমন অনেক কিছু দেখা যাবে যা অস্বাভাবিক।
প্লে স্কুল থেকে ক্লাস টু পর্যন্ত পাঠ্যক্রমকেই শিক্ষার ভবিষ্যতের ভিত বলে উল্লেখ করেছে এনসিএফ। স্পষ্ট করেই বলা হয়েছে, ভিত দুর্বল হলে স্বপ্নের অট্টালিকা ভেঙে পড়বেই। বেশ কয়েকটি ভাগে স্কুল শিক্ষার পাঠ্যক্রমকে ভাগ করেছে এনসিএফ। তাতে প্লে স্কুল থেকে ক্লাস টু পর্যন্ত এক রকম, থ্রি-ফোর আরএক রকম। ক্লাস ফাইভ থেকে এইট পর্যন্ত সিলেবাস এবং তার পরবর্তীতে কীভাবে পড়ানো উচিত সে ব্যাপারে পুঙ্খানুপুঙ্খ প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এনসিএফের এই প্রস্তাব পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক।