ভ্যাকসিন তৈরিতে কষ্ট কেন, যখন চুরি করা যায় ! মুখ পুড়ল উত্তর কোরিয়ার

কলকাতা টাইমস :
উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা করোনা টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থা ফাইজারের ডাটাবেজে সাইবার হামলা চালিয়ে তথ্য চুরি করেছে বলে দাবি করেছে দক্ষিণ কোরিয়া। আজ মঙ্গলবার দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা ‘ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস’(এনআইএস) এমনটা দাবি করেছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার সংসদ সদস্য হা তায় কেয়ং এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, করোনার টিকা তৈরি করতে মরিয়া উত্তর কোরিয়া। এর জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য হাতিয়ে নিতে ফাইজারের ডাটা বেজে সাইবার আক্রমণ চালিয়েছে সে দেশের হ্যাকাররা। তিনি আরো বলেন এই বিষয়টি নিয়ে একটি রিপোর্ট দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা।
উত্তর কোরিয়ার কাছে রয়েছে কয়েক হাজার সদস্যের একটি সুশিক্ষিত হ্যাকার বাহিনী। সরাসরি কিমের নির্দেশে অস্ত্র তৈরি প্রযুক্তি ও টিকা-সহ অন্যান্য তথ্য হাতাতে গোটা বিশ্বেই সাইবার হামলা চালায় তারা। গত বছরের ডিসেম্বরে ৯টি সংস্থার পরিষেবা বিকল করে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চুরির চেষ্টা চালিয়েছিল হ্যাকাররা।
এই তালিকায় ছিল আমেরিকা, ব্রিটেন এবং দক্ষিণ কোরিয়ার ৬টি ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা। আরো চমকপ্রদ বিষয় হল, সংস্থাগুলির নাম। আমেরিকার জনসন অ্যান্ড জনসন থেকে নোভাভ্যাক্স আইএনসি, ব্রিটেনের অ্যাস্ট্রাজেনেকার মতো বিখ্যাত সব নাম হ্যাকারদের হিটলিস্টে ছিল। এছাড়াও ছিল বোস্টনের ইজরায়েল ডিকোনেস মেডিক্যাল সেন্টার এবং জার্মানির ইউনিভার্সিটি অফ টিউবিনজেন।
গত বছরের শুরু থেকেই করোনা ঠেকাতে সীমান্ত বন্ধ করে অন্যান্য দেশের সঙ্গে প্রায় সম্পর্ক ছিন্ন করেছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির সর্বাধিনায়ক কিম জং উনের দাবি, তাঁর দেশে এখনো থাবা বসাতে পারেনি এই ভাইরাসটি। কিন্তু বাস্তবে সামনে এসেছে অন্য চিত্র। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ও সিওলের দাবি, কিমের দেশে রীতিমতো ত্রাস সৃষ্টি করেছে করোনা ভাইরাস। প্রাণও হারিয়েছেন বহু মানুষ।