প্রোটিনের এই ৫ ধারণায় বিশ্বাসী নন তো ? তাহলেই ….
শরীর সুস্থ রাখতে প্রোটিন জরুরি। মাংসপেশীর বৃদ্ধি, দেহের টিস্যু পুনর্গঠন, তরুণাস্থি গঠন, ত্বক এবং রক্তের জন্য প্রোটিন গ্রহণ করা প্রয়োজন। প্রতিদিন আমরা নির্দিষ্ট পরিমাণ পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করে থাকি।
প্রোটিন সম্পর্কে কিছু প্রচলিত ধারণা আছে যেগুলো আমরা বিশ্বাস করে থাকি- এগুলো পরিহার না করলে সুস্থতার উপর প্রভাব পড়তে পারে।
নিম্নে প্রোটিন সম্পর্কে কিছু ভ্রান্ত ধারণা তুলে ধরা হল যেগুলো অবশ্যই পরিহার করা উচিত।
১. ওজন কমাতে চাইলে প্রোটিন গ্রহণ কমাতে হবে: দৈনন্দিন খাদ্যতালিকা থেকে প্রোটিনের পরিমাণ কমিয়ে দিলে স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। আপনি যদি ওজন কমানোর প্রক্রিয়ায় থাকেন অথচ পর্যাপ্ত প্রোটিন গ্রহণ করেন না তাহলে ওজন কমানো আপনার জন্য আরো কঠিন হয়ে পড়বে।
সবচেয়ে ভালো হয়, পুষ্টিবিদদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজন মাফিক প্রোটিন গ্রহণ করতে হবে।
২. অতিরিক্ত প্রোটিন গ্রহণ কিডনি রোগের কারণ: এটি অবশ্যই জেনে রাখা উচিত যে, কিডনি রোগে আক্রান্ত হলেই কেবল অতিরিক্ত প্রোটিন গ্রহণ ক্ষতিকর। আপনার যদি কোনো ধরনের কিডনি বা লিভার রোগ সনাক্ত হয় তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় প্রোটিন গ্রহণ করতে হবে।
৩. সবজি জাতীয় খাবারে পর্যাপ্ত প্রোটিন থাকে না: যারা ডায়েটে সবজি জাতীয় খাদ্য রাখেন তারা আলাদাভাবে এর সঙ্গে প্রোটিন গ্রহণ করে থাকে। এ ক্ষেত্রে অনেকে টোফু, লেনটিল, বাদাম, চিকপিস, ভাত, আলু ও আলমন্ডসহ বিভিন্ন ধরনের বীজ জাতীয় খাদ্য ডায়েটে যুক্ত করেন। তবে আপনাকে অবশ্যই একটি সুষম এবং পুষ্টিসমৃদ্ধ ডায়েট নিশ্চিত করতে হবে।
৪. প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট সবার জন্য জরুরি: যারা পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিনযুক্ত খাবার খেয়ে থাকেন তাদের প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করার প্রয়োজন নেই। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করে বয়স, লিঙ্ক, পেশা এবং অন্যান্য লাইফস্টাইল অনুযায়ী প্রোটিন গ্রহণ করা উচিত।
৫. প্রোটিনের মূল ভূমিকা পেশি গঠন করা: প্রোটিনে সমৃদ্ধ অ্যামিনো এসিড থাকে যেগুলো কেবল পেশি গঠনই করে না, হাড়, চুল এবং জয়েন্টের জন্য কার্যকরী। এমনকি এলডিএল এবং এইচডিএল কোলেস্টেরল প্রোটিন উপাদানের উপর নির্ভরশীল। এগুলো রোগপ্রতিরোধ সিস্টেমকে শক্তিশালী করে এবং ব্লাড গ্লুকোজ সরবরাহে সাহায্য করে। দেহের সকল কার্যক্রমের জন্য প্রোটিন গুরুত্বপূর্ণ।