November 22, 2024     Select Language
৭কাহন Editor Choice Bengali KT Popular

হৃদয় কোথায় এতো সবটাই মস্তিষ্কের খেলা

[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :ভালোবাসা কী? প্রশ্ন করা হলে উত্তর পাওয়া যাবে দু’জন মানুষের মধ্যে যখন হৃদয় আদান-প্রদান হয়, অনুভূতি দেওয়া-নেওয়া হয় তখন তাকে ভালোবাসা বলে। ভালোবাসার সঙ্গে আসলে সম্পর্ক কার? হৃদয়ের নাকি অন্যকিছুর?

বিজ্ঞান কিন্তু ভালোবাসা খুঁজে পায় মস্তিষ্কে। হরমোন, মস্তিষ্ক ইত্যাদি মিশিয়েই ভালোবাসা প্রকাশ করে বিজ্ঞান। চলুন তবে ভালোবাসা নিয়ে বিজ্ঞান কী যুক্তি দেয় জেনে নিই-

মস্তিষ্কের কোন অংশে থাকে ভালোবাসা?  

মস্তিষ্ক সাধারণত দুই ভাগে বিভক্ত। এর একেক অংশের কাজ একেক রকম। মস্তিষ্কের ডান অংশ সাধারণত মানুষের আবেগ, অনুভূতি, সৃজনশীলতা, ভাবনা ইত্যাদি বিষয় নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। অপরদিকে মস্তিষ্কের বাম অংশ যুক্তি, কারণ, প্ল্যান, ব্যাখ্যা ইত্যাদি বিষয় নিয়ন্ত্রণ করে। তাই বিজ্ঞানের ভাষায় বলা যায় মস্তিষ্কের ডান অংশই ভালোবাসাজনিত যাবতীয় বিষয় বহন করে থাকে।

ভালোবাসার প্রাথমিক পর্যায়ে ভালোবাসাজনিত কারণে সচল থাকা মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশে ডোপামিন প্রবাহিত হয়ে থাকে। এটি ভালোবাসাকে উচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যায়। এ কারনে ডোপামিনকে ভালোবাসার ড্রাগও বলা হয়ে থাকে।

মানুষকে আকৃষ্ট করতে মস্তিষ্কের কোন রাসায়নিক পদার্থ দায়ী?

একজন মানুষ যখন অন্য একজন মানুষের প্রতি আকর্ষণ বোধ করে তখনই তারা একে অপরের কাছে আসে যা পরবর্তীতে সৃষ্টি করে ভালোবাসার। ভালোবাসার প্রাথমিক পর্যায়ে মানুষের মধ্যে তিনটি বিষয় বেশি কাজ করে। আর তা হল- কাছে পাওয়ার ইচ্ছা, আকাঙ্ক্ষা আর ভবিষ্যৎ লক্ষ্য।

কাছে পাওয়ার ইচ্ছার জন্য আমাদের সাধারণ সেক্স সেল, ইস্ট্রোজেন ও টেস্টোস্টেরন দায়ী। ভবিষ্যৎ লক্ষ্য আমাদের পুরো দেহ জুড়েই অবস্থান করে কেননা এর জন্য দায়ী একগুচ্ছ এড্রেনালিন। এই রাসায়নিক পদার্থ মানুষকে প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবেলা ও দায়িত্ব নিতে সাহায্য করে। এই একই রাসায়নিক পদার্থ ভালোবাসার প্রাথমিক দিকে মানুষের শ্বাসের হার এবং ঘামের হারও বৃদ্ধি করে থাকে।

এ কথা সত্য যে ভালোবাসা একটি মনস্তাত্ত্বিক বা হৃদয়ঘটিত ব্যাপার। তবে এর জন্য মস্তিষ্ক এবং তার বিভিন্ন উপাদানও কিন্তু কম দায়ী নয়। এই যেমন ভালোবাসার প্রাথমিক পর্যায়ে সেরেটোরিন এবং ডোপামিনের মত রাসায়নিক পদার্থগুলো মনকে সতেজ রাখে, অন্যের প্রতি আকৃষ্ট করে। মূলকথা হল মনকে সতেজ রাখতে সাহায্য করে এই রাসায়নিক পদার্থগুলো।

এরপর ভালোবাসায় আসে কাছাকাছি আসা, একে অপরকে বোঝা এই ব্যাপারগুলো। এই পর্যায়ে মস্তিষ্কে প্রবাহিত হয় অক্সিটসিন।

ভালোবাসা মনের ব্যাপার হলেও বিজ্ঞানের বাইরে নয়। ভালোবাসাও তাই অজানা কোন বিষয় নয়। দেহ আর মস্তিষ্কের স্বাভাবিক নিয়মেই মানুষ একে অপরের কাছে আসে এবং ভালোবাসার সম্পর্কে জড়ায়।

Related Posts

Leave a Reply