বিচ্ছেদেই নয়, ৪২৯ কোটি ডলার বিলিয়েও বিশ্বসেরা তিনি
কলকাতা টাইমস :
এবছর ম্যাকেঞ্জি স্কটের কাছে অর্থকড়ি যেভাবে জলের মতো ভেসে এসেছে, তেমনি দু’হাতে বিলিয়েও দিচ্ছেন তিনি। গত চার মাসে খাদ্য ও জরুরি ত্রাণ সহায়তায় প্রায় ৪২০ কোটি ডলার দান করেছেন অ্যামাজন প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসের প্রাক্তন স্ত্রী।
সম্প্রতি বেজোসের সঙ্গে বিয়ে বিচ্ছেদের সূত্র ধরে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন ম্যাকেঞ্জি। অ্যামাজনের বেশ কিছু শেয়ারের জেরে হয়ে উঠেছেন বিশ্বের অন্যতম শীর্ষধনী। আর করোনাভাইরাস মহামারিতে অ্যামাজনের ব্যবসা ফুলেফেঁপে ওঠায় বেজোসের মতো দ্রুত সম্পদ বেড়েছে তার প্রাক্তনপত্নীরও।
চলতি বছর ম্যাকেঞ্জি স্কটের সম্পদ একলাফে বেড়েছে ২ হাজার ৩৬০ কোটি ডলার। এ নিয়ে তার মোট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার কোটি ডলারেরও বেশি।
ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার ইনডেক্স অনুসারে, বর্তমানে বিশ্বের ১৮তম শীর্ষধনী ম্যাকেঞ্জি স্কট। আর সাবেক স্বামী জেফ বেজোস রয়েছেন এক নাম্বারে।
শুধু অর্থ আয় বা বিয়ে বিচ্ছেদই নয়, দান করেও অনেক গণমাধ্যমের খবরের শিরোনাম হয়েছেন প্রভাবশালী এ মহিলা । ২০১৯ সালে জেফ বেজোসের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদের পরপরই অর্জিত সম্পদের একটি বড় অংশ দান করে দেওয়ার প্রতিজ্ঞা করেছিলেন তিনি।
মঙ্গলবার এক ব্লগ পোস্টে ম্যাকেঞ্জি স্কট বলেছেন, এই মহামারি সংকটে থাকা আমেরিকানদের জীবনে ধ্বংসাত্মক কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অর্থনৈতিক ক্ষতি এবং স্বাস্থ্যগত ফলাফল নারী, অশ্বেতাঙ্গ মানুষ এবং দরিদ্রদের জন্য আরও ভয়াবহ। যদিও, এটি বিলিয়নিয়রদের সম্পদ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
অ্যামাজনের অন্যতম স্বত্ত্বাধিকারী জানান, তিনি বিশেষজ্ঞ দলের সহযোগিতায় অন্তত সাড়ে ছয় হাজার সংস্থার মধ্য থেকে ৩৮০টির বেশি দাতব্য সংস্থাকে সহায়তার জন্য বেছে নিয়েছেন। গত জুলাই মাসেই ১১৬টি সংস্থাকে অন্তত ১৭০ কোটি ডলার দেয়া হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ম্যাকেঞ্জির দানের পরিমাণ ৬০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে গেছে।
৫০ বছর বয়সী এ মহিলা বলেন, আমার কাছে ভাগাভাগি করার জন্য অনেক বেশি অর্থ রয়েছে। মানবসেবার প্রতি আমার দৃষ্টিভঙ্গি সবসময় চিন্তাশীল থাকবে। এর জন্য সময়, প্রচেষ্টা এবং যত্নের দরকার। কিন্তু, আমি তার জন্য অপেক্ষা করব না। ভাণ্ডার খালি না হওয়া পর্যন্ত আমি এটি চালিয়ে যাব।