অবাক হলেও, একটা নয় চীন আছে দুটো
কলকাতা টাইমস ;
বর্তমান বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী দেশ হচ্চে চীন। এটা আমরা জানি। কিন্তু আপনি কি এটা জানেন এই চীনের আরেক যমজ ভাই আছে। ভাবছেন এ আবার কি গাঁজাখুরি কথা। চীন তো দেশ তার আবার ভাই তাও যমজ ? তাহলে খুলেই বলি। দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির এই দেশটির নামে আরো একটি দেশের খোঁজ পাওয়া গেছে!
গণচীনের এক দিকে কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, তুর্কমেনিস্তান। উত্তরে রাশিয়া আর মঙ্গোলিয়া। পূর্ব আর দক্ষিণ দিকের বেশির ভাগ অংশেই সমুদ্র। দক্ষিণ-পশ্চিমে ভারত, নেপাল, ভুটান, মিয়ানমার ও ভিয়েতনাম।
চীন সম্পর্কে ভারতীয়রা অতিমাত্রায় সচেতন। কারণ এশিয়ার দুই সবচেয়ে বড় শক্তি হওয়ায় এই চীন আর ভারতের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা রয়েছে বিভিন্ন বিষয়ে। এই চীন দেশকে গোটা বিশ্ব চিনলেও, অন্য চীন দেশটার কথা কিন্তু অধিকাংশই জানেন না। চীন নামে দ্বিতীয় দেশটাও এশিয়াতেই রয়েছে। তার অবস্থান চীনের দক্ষিণ-পূর্ব দিকে সমুদ্রের মাঝে একটি দ্বীপপুঞ্জ হিসেবে। এর পূর্বে এবং উত্তর-পূর্বে রয়েছে জাপান। দক্ষিণে ফিলিপিন্স।এই দেশটিকে আসলে অনেকে তাইওয়ান নামে চেনেন। কিন্তু দেশটির সরকারি নাম রিপাবলিক অব চায়না বা প্রজাতান্ত্রিক চীন। আর যে চীন দেশকে আমরা সবাই চীন নামে চিনি, সেই দেশের সরকারি নাম পিপলস রিপাবলিক অব চায়না বা গণপ্রজাতন্ত্রী চীন।
খবর অনুযায়ী, দেশের এমন প্রায় একই নাম হওয়ার কারণটা ঐতিহাসিক। চীনে কমিউনিস্ট শাসন প্রতিষ্ঠা হওয়ার ঠিক আগে সে দেশের শাসন ক্ষমতায় ছিল মার্শাল চিয়াং কাইশেকের সরকার। তখন চীনের সরকারি নাম ছিল রিপাবলিক অব চায়না। তাইওয়ান সে সময় চীনেরই অংশ ছিল। কমিউনিস্টদের সঙ্গে সরকারি বাহিনীর লড়াই শুরু হওয়ার পর মাও সে তুং-এর বাহিনীর কাছে ক্রমশ পিছু হঠতে থাকে সরকার। মার্শাল চিয়াং কাইশেক ও তাঁর অনুগামীরা চীনের মূল ভূখণ্ড ছেড়ে পালিয়ে যান। তাইওয়ানে আশ্রয় নেন। তাইওয়ান এবং আশপাশের কয়েকটি দ্বীপ ছাড়া চীনের বাকি সব অংশ কমিউনিস্টদের দখলে চলে যায়। সেই কমিউনিস্ট সরকার চীনের নাম রাখে গণপ্রজাতন্ত্রী চীন। আর কাইশেকের শাসনে তাইওয়ানসহ আশপাশের দ্বীপগুলোর নাম আগের মতোই থাকে প্রজাতন্ত্রী চীন। তাই সেই ১৯৪৯ সাল থেকেই পৃথিবীতে চীন নামে দু’টি দেশ।