এবার জন্ম-মৃত্যু হিসেবও এই তালিকায়
কলকাতা টাইমস :
মৃত্যুর পর স্বয়ংস্ক্রিয়ভাবেই ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়বে নাম। আবার কারওর ১৮ বছর হলেই তাঁর নাম ঢুকে পড়বে ভোটার তালিকায়। আলাদা করে আবেদন করতে হবে না। জন্ম মৃত্যু সংক্রান্ত তথ্য এবার ভোটার তালিকার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত করা হবে। এজন্য আইন তৈরি করতে চলেছে ভারত সরকার ।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছেন, সংসদের আগামী অধিবেশনে এই সংক্রান্ত বিল পেশ করবে সরকার।
ভোটার তালিকার সঙ্গে জন্ম মৃত্যুর তথ্য যুক্ত করার ভাবনা নতুন নয় । নির্বাচন কমিশন রাজ্য প্রশাসনের কাছ থেকে মৃত্যু সংক্রান্ত তথ্য নিয়ে ভোটার তালিকা থেকে মৃতদের নাম বাদ দিয়ে থাকে।
তবে কমিশন তা করে থাকে প্রশাসনিক নির্দেশে। আইন হলে কমিশন সরাসরি এই কাজ করতে পারবে। আইন তৈরির পর সবচেয়ে বড় যে পরিবর্তনটি আসবে তা হল, ১৮ বছর বয়স হওয়া মাত্র ভোটার তালিকায় নাম উঠে যাবে। আলাদা করে নাম তোলার দরকার হবে না। একই ভাবে কেউ মারা যাওয়ার পর ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দিয়ে দেবে কমিশন। পরিবারের পক্ষ থেকে ওই তথ্য কমিশনকে জানানোর প্রয়োজন হবে না।
শাহ জানিয়েছেন, এতে ভোটার তালিকায় নাম তোলা সহজ হবে। মৃত ভোটারের নাম বাদ যাওয়ায় ভোটার তালিকা অনেক স্বচ্ছ হবে। এছাড়াও সরকারি প্রকল্পের সুবিধা দানের ক্ষেত্রে ভোটার তালিকাকে ব্যবহার করতে পারবে সরকার। তিনি জানান, আইন চালুর পর জন্ম সংক্রান্ত তথ্য স্বাস্থ্য দফতরের সিস্টেমে ওঠা মাত্র তা নির্বাচন কমিশনের তথ্য ভাণ্ডারের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যাবে।
স্বরাষ্ট্র দফতর সূত্রের খবর, সরকার জন্ম মৃত্যু রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত আইনও সংশোধনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জন্ম মৃত্যুর তালিকার সঙ্গে যুক্ত করা হবে সরকারি সুবিধা বন্টন ব্যবস্থার। এরফলে সরকারের পরিকল্পনা বাজেট তৈরি আরও সহজ হবে।
সূত্রের খবর, রেজিস্ট্রেশন অফ বার্থ অ্যান্ড ডেথ অ্য়াক্ট, ১৯৬৯ আইন সংশোধন করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সকার। এই সংশোধনীর ফলে শুধুমাত্র নির্বাচন কমিশনের সুবিধা হবে তা নয়, সুবিধা পাবে আমজনতাও। জানা গিয়েছে, এই সংশোধনীর ফলে ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরি, পাসপোর্ট বানানো এবং সরকারের জনকল্যাণমুখী প্রকল্পের সুবিধাও পাবেন সহজে। একইসঙ্গে জনগণনাও সহজ হবে বলে মনে করছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।