শেষে ঝিঁঝিঁ পোকাও খাবারের তালিকায়!
কলকাতা টাইমস :
ঝিঁঝিঁ পোকার নাম শুনলেই অনেকে নাকমুখ কুঁচকে ফেলেন, সেখানে তা খাওয়ার কথা বলা হচ্ছে! নিশ্চই বলে উঠলেন ইয়াক…। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, পেটের স্বাস্থ্যের জন্য নাকি ঝিঁঝিঁ পোকার থেকে ভালো আর কিছু হতেই পারে না।
সায়েন্টিফিক রিপোর্টস জার্নালে প্রকাশিত হয় এই ক্লিনিকাল ট্রায়ালের তথ্য। গবেষণার লেখিক ভ্যালেরি স্টাল জানান, তিনি নিজে ১২ বছর বয়সে প্রথম পোকার স্বাদ গ্রহণ করেন। অনেক দেশেই পোকা খাওয়া হয় নিয়মিত। প্রোটিনের উৎস হিসেবে গবাদি পশুর তুলনায় পোকা অনেক সহজলভ্য এবং পরিবেশবান্ধব। শুধু তাই নয়, পোকা খাওয়াটা বেশি স্বাস্থ্যকর। এতে পেটের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
গবেষণার জন্য ১৮ থেকে ৪৮ বছর বয়সী ২০ জন স্বেচ্ছাসেবীকে দুই সপ্তাহ ধরে খাবার দেওয়া হয়। তাদের এক অংশকে ঝিঁঝিঁ পোকা গুঁড়ো মেশানো সকালের জলখাবার দেওয়া হয়, অন্য অংশকে সাধারণ খাবার দেওয়া হয়। এর পরে দুই সপ্তাহ সবাইকে সাধারণ খাবার দেওয়া হয়। এর পর আবার দুই সপ্তাহ কাউকে পোকা মেশানো খাবার ও কাউকে সাধারণ খাবার দেওয়া হয়। তাদের সবার রক্ত ও মলের নমুনা সংগ্রহ করা হয় এবং পেটের স্বাস্থ্য নিয়ে কিছু প্রশ্ন করা হয়।
গবেষণার ফলাফলে দেখা যায়, পোকা মেশানো খাবার খাওয়ার কোনো খারাপ প্রভাব পড়েনি স্বেচ্ছাসেবীদের স্বাস্থ্যে। তবে তাদের পেটে বাইফিডোব্যাকটেরিয়াম অ্যানিমালিস নামের একটি এনজাইম এবং ক্যান্সার ও ডিপ্রেশনের সাথে সম্পর্কিত প্রোটিন টিএনএফ-আলফার পরিমাণে পরিবর্তন আসে। ঝিঁঝিঁ পোকা মেশানো খাবার খেলে এই এনজাইমের পরিমাণ বাড়ে এবং প্রোটিনের পরিমাণ কমে। এনজাইমটি পেটের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। ফলে ধরে নেওয়া যায় ঝিঁঝিঁ পোকার গুঁড়ো মেশানো খাবারটি পেটের জন্য উপকারী।এই পরীক্ষাটি আরও বেশি মানুষের ওপর করে দেখতে হবে বলে মনে করেন গবেষকরা। তবে ফলাফল আশানুরূপ হবে বলে মনে করছেন তারা।