‘খোদার ওপর খোদ্দারী’, এবার সন্তান ছেলে না মেয়ে ঠিক করতে পারবেন আপনিই
কলকাতা টাইমস :
পুত্র বা কন্যা সন্তান নিয়ে আমাদের অনেক রকম স্বপ্ন থাকে।কিন্তু সব কিছুর নিয়ন্ত্রণ তো আর মানুষের হাতে নেই। গর্ভস্থ সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারণে একচ্ছত্র অধিকার প্রকৃতির। কিন্তু সেই প্রকৃতির ওপরই এবার ছড়ি ঘোরাতে পারবেন আপনি।
একদল ব্রিটিশ গবেষক দাবি করেছেন ছোট্ট একটি প্রাকৃতিক কৌশল অবলম্বন সন্তান ছেলে হবে না মেয়ে, তা ঠিক করতে পারবেন আপনিই। একাধিক ব্রিটিশ গবেষকদের স্টাডি রিপোর্টে বলা হয়েছে, মূলত, শারীরিক ঘনিষ্ঠতার সময়ের ওপরে নির্ভর করে এই পদ্ধতি। সন্তান ছেলে হবে না মেয়ে, তা কী করে নিয়ন্ত্রণ করে শারীরিক ঘনিষ্ঠতার সময়? এ ক্ষেত্রে প্রথমেই দু’টি বিষয়ে ভাল করে জানতে হবে, বুঝতে হবে। একটি হল ওভিউলেশন বা ডিম্বপাত নামের প্রক্রিয়াটি কী ভাবে কাজ করে, আরেকটি হল স্পার্ম বা শুক্রাণু কী ভাবে একে প্রভাবিত করে।
ডিম্বপাত প্রক্রিয়া: নারী শরীরে প্রতি মাসে পাঁচ দিনের একটি সময়সীমা থাকে যখন ওভিউলেশন হয়। ডিম্বপাতের তিন দিন আগে থেকে শুরু করে এক দিন পর পর্যন্ত হল গর্ভধারণের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত সময়। কারণ, ডিম্ব কার্যকরী থাকে মাত্র ২৪ ঘণ্টা। কিন্তু শুক্রাণু নারীর শরীরে পাঁচ দিন পর্যন্ত কার্যকরী থাকতে পারে। সুতরাং, এই সময়ের মধ্যে গর্ভধারণ করা যাবে তা জানা গেল। এবার জেনে নেওয়া যাক, সন্তান ছেলে হবে না মেয়ে, তা কী ভাবে ঠিক করা যেতে পারে। আর সে জন্য জানতে হবে শুক্রাণুর প্রভাব সম্পর্কে।
শুক্রাণুর প্রভাব: X ক্রোমোজোম বিশিষ্ট শুক্রাণু দ্বারা ডিম্ব নিষিক্ত হবার কারণে সন্তান মেয়ে হয় আর Y ক্রোমোজোমের কারণে ডিম্ব নিষিক্ত হলে সন্তান হবে ছেলে। Y শুক্রাণু তুলনামূলকভাবে অনেক ছোট, কিন্তু বেশ দ্রুতগামী। তারা খুব বেশিক্ষণ জীবিত থাকে না। এ দিকে X শুক্রাণু বেশ বড় এবং ধীরগতির, কিন্তু তারা আবার একটু বেশ সময় বাঁচে।
সন্তান হিসেবে ছেলে চাইলে Y শুক্রাণু যাতে খুব দ্রুত ডিম্বের কাছাকাছি যেতে পারে সে ব্যবস্থা করতে হবে। এর জন্য নারীর যে দিন ডিম্বপাত হচ্ছে সে দিনেই মিলিত হওয়াটা জরুরি। না হলে শুক্রানুটি আর তেমন কার্যকরী থাকবে না। আবার আপনি যদি কন্যা সন্তান চান তবে ডিম্বপাতের দুই থেকে তিন দিন আগে মিলিত হতে হবে। ডিম্বপাত হবার আগেই সব Y শুক্রাণু মারা যাবে, ফলে সন্তান ছেলে হবার সম্ভাবনা কমে যাবে অনেকটাই। বেঁচে থাকবে শুধু মাত্র X শুক্রাণুগুলি। ফলে কন্যা সন্তান হবার সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যাবে।
তবে এই প্রতিবেদন কোনও ভাবেই শুধুমাত্র কন্যা সন্তান বা শুধুমাত্র পুত্র সন্তান জন্ম দেওয়ার বিষয়টিকে উৎসাহিত করার জন্য নয়। এটি শুধুমাত্র একটি গবেষণালব্ধ তত্ব।