৫০ পেরলেই এই খাবারগুলি মাস্ট, নাহলে …
[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :
বয়স যখন ঘোড়ার পিঠে চরে বাড়তেই থাকে, তখন কতগুলি খাবারের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতিয়ে ফেলাটা একান্ত প্রয়োজন। না হলে শরীর ভাঙতে শুরু করে। তাই আপনিও যদি হাফ সেঞ্চুরি করে থাকেন, তাহলে একবার নিজের কথা ভেবে এই প্রবন্ধটি পড়ে ফেলুন। দেখবেন অনেক উপকার পাবেন।আসলে আমাদের শরীরকে সচল রাখতে প্রতিদিন বেশ কিছু পুষ্টির প্রয়োজন পরে। আর সেই পুষ্টিকর উপাদানগুলির যোগান দেয় খাবার। সেই সঙ্গে ব্লাড প্রেসার, সুগার সহ একাধিক রোগকে দূরে রাখতেও বিশেষভাবে সাহায্য করে। তাই তো শরীর ভাল রাখতে খাবারের উপর এতটা গুরুত্ব দেওয়া হয়। তাহলে এখন প্রশ্ন হল, বয়স ৫০-এর কোটা পেরলে কী কী খাবার রোজ খাওয়াটা জরুরি? সে উত্তর মিলবে। তবে তার আগে জেনে নিন বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কোন কোন খাবারকে এড়িয়ে চলতে হবে। এক্ষেত্রে প্রথমেই নুন খাওয়ার উপর নিয়ন্ত্রণ আনতে হবে। সেই সঙ্গে মিষ্টি জাতীয় খাবার এবং রেড মিটকে না বলতেই হবে। তবেই কিন্তু শরীর ভাল থাকবে। না হলে কিন্তু হাজারো রোগ আপনার জীবন দুর্বিসহ করে তুলবে।
এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই সব খাবার সম্পর্কে, যা এই বয়সে খাওয়া তাইই-চাই!
এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই সব খাবার সম্পর্কে, যা এই বয়সে খাওয়া তাইই-চাই!
১. দই:
এতে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ক্যালসিয়াম, যা শরীরের এই খনিজটির ঘাটতি পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রসঙ্গত, এই খনিজটি আমাদের হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়। ফলে বয়সকালে নানাবিধ হাড়ের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে।
২. সবুজ শাক-সবজি:
বয়স ৫০ পরলে প্রতিদিন শরীরের ১২০০-২৫০০ এম জি ক্যালসিয়ামের প্রয়োজন পরে। তাই তো রোজের ডায়েটে সবুজ শাক-সবজি রাখাটা মাস্ট! কারণ সবজি এই পরিমাণ ক্যালসিয়ামের ঘাটতি মেটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৩. টোফু:
শরীরে রোজের যে প্রোটিনের চাহিদা, তা মেটাতে এই খাবারটির কোনও বিকল্প নেই বললেই চলে। তাই তো প্রতিদিন কম করে ৪৬ এম জি টফু খাওয়া জরুরি। প্রসঙ্গত, বয়স ৫০ পেরলে প্রতিদিন প্রায় ১২০ এম জি প্রোটিনের প্রয়োজন পরে, যা টফুর মাধ্যমে কিছুটা পূরণ করা সম্ভব।
৪. ছোট মাছ:
শুধু ৫০ বছর বয়সিদের জন্য়ই নয়, ৮-৮০ যে কোনও বয়সিদের ক্ষেত্রেই এই খাবারটি বেশ উপকারে লাগে। আসলে চোট মাছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম রয়েছে। তাই তো বয়স হলে প্রতিদিন এই ধরনের মাছ খাওয়ার পরমার্শ দেন চিকিৎসকেরা।
৫. লিভার:
মেটেতে প্রায় ২৩ এম জি মতো আয়রন থাকে, যা এই বয়সে শরীরকে চাঙ্গা রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই তো ৫০-এর পর এই খাবারটি প্রায় প্রতিদিন নিয়ম করে খেতে হবে।
৬. ব্রকলি:
এটিও একটি ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ সবজি। আর যেমনটা আপনাদের সকলেরই জানা আছে যে প্রতিদিন প্রায় ১২০০ এম জি ক্যালসিয়ামের প্রয়োজন পরে ৫০ বছর বয়সিদের, যা পূরণে ব্রকলি দারুনবাবে সাহায্য় করে।
৭. বিনস:
বয়স কালে সুস্থ রাখতে আয়রন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই তো এই বয়সিদের প্রতিদিন বিনস খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। কারণ এতে রয়েছে প্রায় ৩.৭ এম জি আয়রন, যা নানাভাবে শরীরকে চাঙ্গা রাখে।
৮. ডিম:
এই খাবারটির উপকারিতা কথা বলে শেষ করা যাবে না। কেন জানেন? কারণ ডিম খেলে মাথার চুল থেকে পায়ের পাতা পর্যন্ত শরীরের প্রতিটি অঙ্গ সবল হয়ে ওঠে। তাই তো প্রবীণদের খাবার তালিকায় ডিমকে একেবারে উপরের দিকে রাখা হয়। প্রসঙ্গত, ডিমে প্রায় ১৩ গ্রাম পোটিন রয়েছে, যা প্রতিদিনের প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৯. মৌসম্বি লেবু:
৫০ বছর বয়সিদের প্রতিদিন ৩৫ গ্রাম করে ভিটামিন-সি-এর প্রয়োজন পরে। এই পরিমাণ ভিটামিনের চাহিদা মেটাতে মৌসম্বি লেবু কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে।
১০. গাজর:
অপনি কি রোজই বাজার করেন? তাহলে রোজের বাজারের থলিতে যেন এই একটা সবজি থাকেই থাকে। কারণ এতে রয়েছে ১০০ গ্রাম ভিটামিন-এ। এই পরিমাণ ভিটামিন-এ আপনার শরীরে প্রবেশ করলে কোনও রোগই আপনাকে ছুঁতে পারবে না। তাই প্রতিদিন একটা করে গাজর খাওয়া মাস্ট!