November 22, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular ধর্ম

ঠাকুর ঘরে জিনিস রাখতে এই নিয়ম না মানলেই কিন্তু…!

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস :

শাস্ত্রে উল্লেখিত নিয়মগুলি মেনে যদি ঠাকুর ঘরে জিনিসপত্র রাখা না হয়, তাহলে গৃহস্থের অন্দরে নেগেটিভ শক্তির প্রভাব বাড়াতে শুরু করে। ফলে একের পর এক খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা যেমন বেড়ে বেড়ে, তেমনি ব্যাড লাক রোজের সঙ্গী হয়। আসুন তাহলে জানি কি নিয়ম মানা উচিত ঠাকুর ঘরে জিনিস রাখতে –
১. পুজোর সময় ফুল নিবেদন করতে ভুলবেন না: ঠাকুরের আরাধনা করার সময় খেয়াল করে তাজা ফুল পরিবেশন করবেন। ভুলে বাসি ফুল বা মালা ব্যবহার করবেন না। কারণ এমনটা করলে ঠাকুর ঘরের পবিত্রতা ক্ষুন্ন হবে। ফলে দেবের শক্তি কমতে থাকবে। আর এমনটা হওয়া যে একেবারেই শুভ নয়, তা নিশ্চয় আর বলে দিতে হবে না।

২. ঠাকুর ঘরে ঘন্টা থাকা মাস্ট:  প্রতিদিন পুজোর শেষে ঘন্টা বাজাতে ভুলবেন না যেন! এমনটা করলে বাড়ির অন্দরে থাকা নেগেটিভ এনার্জি দূরে পালাবে। ফলে কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যাবে। 
৩. ঠাকুর ঘরের দরজা: এক্ষেত্রে যে বিষয়গুলি মাথায় রাখতে হবে সেগুলি হল ঠাকুর ঘরের দরজা যেন লোহার না হয়। আর খেয়াল রাখতে হবে দরজাটি যেন অটোমেটিকলি বন্ধ না হয়ে যায়। শুধু তাই নয়, বাড়ির এমন জায়গায় ঠাকুর ঘর তৈরি করতে হবে যাতে সারা দিন সেখানে আলো এবং হাওয়া-বাতাস খেলতে থাকে। এমনটা হলে   খারাপ কোনও ঘটনা ঘটার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। 
৪. বাথরুমের পাশে যেন ঠাকুর ঘর না হয়: এমনটা মানা হয় যে বাথরুমের খুব কাছকাছি ঠাকুর ঘর বা ঠাকুরের আসন পাতলে তা বেজায় অশুভ। তাই এমনটা ভুলেও করবেন না। সেই সঙ্গে খেয়াল রাখবেন রান্না ঘরের থেকেও যেন ঠাকুর ঘর একটি নির্দিষ্ট দূরত্ব থাকে। 
৫. প্রদীপ রাখতে হবে : শাস্ত্র মতে ঠাকুর ঘরে প্রদীপ রাখতে হবে দক্ষিণ পূর্ব দিক করে। শুধু তাই নয়, ঠাকুরের ছবি বা মূর্তির সামনে রাখা প্রদীপ যেন সব সময় জ্বলতে থাকে এবং অবশ্যই আরেকটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে, সেটি হল মাটিতে কোনও সময় যেন প্রদীপ রাখা না হয়। এমনটা করা বেজায় অশুভ!

৬.ঠাকুর ঘরের রং: বাস্তু বিশেষক্ষদের মতে আমাদের ঘরের প্রতিটি দেওয়ালের রং কোনও না কোনও ভাবে আমাদের ভাবনা-চিন্তা এবং জীবনকে প্রভাবিত করে থাকে। তাই তো বাস্তুশাস্ত্রে, কোন ঘরের রং কেমন হওয়া উচিত, সে বিষয় একাধিক নিয়মের উল্লেখ পাওয়া যায়। যেমন ধরুন ঠাকুর ঘরের দেওয়ালের রং সব সময় হলকা হলুদ, সাদা বা হলকা নীল রঙের হওয়া উচিত। আর মেঝে হওয়া উচিত সাদা মার্বেলের। 
৭. দেব-দেবীর মূর্তি বা ছবির মাপ: বাস্তুশাস্ত্র মতে ঠাকুর ঘরে রাখা দেব-দেবীদের মূর্তি যেন কোনও সময় ২ ইঞ্চির কম এবং ৯ ইঞ্চির বেশি না হয়। কারণ এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এই নিয়মটি না মানলে নেগেটিভ শক্তির প্রভাব বাড়তে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই কোনও খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা যায় বেড়ে। 
৮. ঠাকুরের কাছে যেন সূর্যালোকের প্রবেশ ঘটে: শাস্ত্র মতে বাড়ির এমন জায়গায় ঠাকুরের আসন বা মন্দির স্থাপন করা উচিত যেখানে দিনের কোনও না কোনও সময় সূর্যের আলো প্রবেশ করে। আসলে এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে ঠাকুরের স্থানে যদি আলো-বাতাস না খেলে তাহলে খারাপ শক্তির প্রকোপ বাড়তে থাকে। ফলে নানাবিধ সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার আশঙ্কা যায় বেড়ে। 
৯. ঠাকুরের মূর্তি ভুলেও মুখোমুখি নয়: শাস্ত্র মতে ঠাকুরের মূর্তি যেন একে অপরের দিকে মুখ করে না থাকে। শুধু তাই নয়, একই ঠাকুরের দুটো ছবি বা মূর্তি রাখা চলবে না। কারণ এমনটা করা বেজায় অশুভ! প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে আরেকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। সেটি হল ঠাকুরের ছবি বা মূর্তি যেন দেওয়ালের সঙ্গে লেগে না থাকে, বরং দেওয়াল থেকে কিছুটা দূরে সর্বশক্তিমাকে স্থাপন করতে হবে। 
১০. যে যে জিনিসগুলি ঠাকুর ঘরের কাছাকাছি রাখা চলবে না: ঠাকুরর ঘরের সামনে চামড়ার কোনও জিনিস রাখা চলবে না, বিশেষত জুতো এবং চামড়ার ব্যাগ। এখানেই শেষ নয়, এক্ষেত্রে আরও কতগুলি নিয়ম মেনে চলা উচিত। যেমন ধরুন- ঠাকুর ঘরের অন্দরে মৃত ব্যক্তির ছবি রাখা চলবে না। কারণ এমনটা করলে পুজোর ঘরে নেগেটিভ শক্তির প্রভাব বাড়তে থাকবে, যা মোটেও শুভ নয়।
১১. ঠাকুর ঘরে ভুলেও গয়না রাখবেন না: অনেকই ঠাকুরের মূর্তির নিচে গয়না এবং টাকা রেখে থাকেন। এমনটা করা একেবারেই উচিত নয়। কারণ শাস্ত্র মতে ঠাকুর হল বাড়ির সবথেকে পবিত্রতম জায়গা। সেখানে এইভাবে টাকা বা গয়না রাখলে পবিত্রতা ক্ষুন্ন হয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই গৃহস্থের অন্দরে মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে নেগেটিভ শক্তি। 
১২. পুজোর সামগ্রি রাখতে হবে কোন দিকে? বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে ঠাকুর ঘরে রাখা পুজোর সামগ্রি যেন দক্ষিণ-পূর্ব দিকে মুখ করে থাকে। আর যদি ঠাকুর ঘরে ঝরনার সোপিস রাখতে হয়, তাহলে সেটি রাখতে হবে উত্তর বা পূর্ব দিকে মুখ করে।  

Related Posts

Leave a Reply