দৈনিক মৃত্যু ২০ তে আটকেও ওড়িশা বাধ্য শ্মশান বাড়াতে !
ওড়িশাতে দৈনিক করোনা কেস গড়ে হাজারের বেশি রিপোর্ট হলেও দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ২০-তে রয়েছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যের রাজধানী ভুবনেশ্বরের অংশ খোরদা জেলায় দৈনিক করোনায় ৪ জন করে মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। অধিকাংশ দেহই পোড়ানো হচ্ছে সত্য নগর শ্মশানে। অথচ নবীন পট্টনায়েকের সরকার কোভিড-১৯ চিকিৎসা করাতে গিয়ে কতজনের মৃত্যু হচ্ছে সে বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে তবে এটা স্বীকার করেছে যে সত্য নগর শ্মশান এত মৃতদেহের চাপ নিতে পারছে না। এই শ্মশানে দেহ পোড়ানোর জন্য সন্ধ্যা পর্যন্ত লম্বা লাইন দেখা গিয়েছে।
নতুন নিয়োজিত ভুবনেশ্বর মিউনিসিপ্যাল কমিশনার তাঁর অধীনস্ত কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন যে ২৫ মে-এর মধ্যে পাতিয়ার কাছে আরও একটি শ্মশান তৈরি করে ফেলা হোক। এই শ্মশানে দেহ পোড়ানোর কাজ চটজলদি করতে এলপিজি দিয়ে পরিচালনা করা হবে। কমিশনার এও জানিয়েছেন যে পাতিয়া শ্মশান কোভিড-১৯-এ মৃতদের পোড়ানোর জন্য উৎসর্গ করা হয়েছে। পুরীর স্বর্গদ্বার শ্মশানে কোভিড দেহ পোড়ানোয় নিষেধাজ্ঞার কারণেই সত্য নগর শ্মশানে এত ভিড় হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কমিশনার। কর্পোরেশন ভারতপুরেও একটি শ্মশান তৈরি করছে যেখানে কোভিড দেহ পোড়ানো যেতে পারে।
সম্বলপুরে যেখানে একটি শ্মশানে করোনার দেহ পোড়ানোর কাজ চলছিল এখন সেখানে চারটে নতুন জায়গায় (একটি সম্বলপুর ও তিনটে বুরলাতে) করোনা রোগীর দেহ পোড়ানো হচ্ছে। সম্বলপুরের রাজঘাট শ্মশান এখন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কেওনঝার জেলা থেকে প্রকৃত ও সরকারি মৃতের সংখ্যার মধ্যে অমিল রয়েছে। গত বছর এই জেলা থেকে ৪৬ জনের মৃত্যু হয় বলে সরকারিভাবে জানানো হয়েছিল। কিন্তু কেওনঝার শ্মশানে কর্মরত সিদ্ধেশ্বর নায়েক জানিয়েছেন যে গত বছর থেকে তিনি নিজে ১৫০টি দেহ পোড়ানোর চিতা সাজিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘কতগুলি দেহ পুড়ছে সে বিষয়ে আমায় নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল মুখ বন্ধ রাখতে। গত একমাসে প্রতিদিন শ্মশানে গড়ে ১২ থেকে ১৩টি দেহ আসে পোড়ানোর জন্য। প্রত্যেক দেহ পিপিই কিট পরে হাসপাতালের কর্মীরা নিয়ে আসেন।’
নুয়াপাড়াতেও সরকারি মৃতের সংখ্যা সঠিকভাবে জানা যায়নি। সরকারের বুলেটিনে বলা হয়েছে গত বছর থেকে এখানে কোভিডে মৃত্যু হয়েছে ৩৮ জনের কিন্তু রিপোর্ট অনুযায়ী নুয়াপাড়ার কোভিড-১৯ হাসপাতালে করোনার দ্বিতীয় ওয়েভে ৭০ জনের বেশি মৃ।ত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। করোনার দ্বিতীয় ওয়েভে বিধ্বস্ত আরও একটি জেলা সুন্দরগড়, করোনায় মৃতদের সমাধিস্ত করার জন্য সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েতের কাছে পাঠানো হয়। কারণ একটি বিশাল জনগোষ্ঠী খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত। যদিও কোভিড মৃতদেহ পোড়ানোর জন্য সুন্দরগড় ও রাউরকেল্লায় শ্মশানের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।