অবশ্যই জানুন ‘সাপের মদ’সহ কিছু নিষিদ্ধ পণ্যের কথা
কলকাতা টাইমস :
আমরা অনেকেই নানান নতুন পণ্য কিনতে-ব্যবহার করতে ভালোবাসি। কিন্তু জেনে-না জেনে কিছু নিষিদ্ধ পণ্য ব্যবহার করে ফেলি ফেলি। যেমন এখন অনেকেই জানেন, বাড়িতে আইভরি বা এর তৈরি পণ্য কিংবা বাঘের চামড়া ইত্যাদি আনা বেআইনি। এ ছাড়াও আরো কিছু ওয়াইল্ডলাইফ স্যুভেনির রয়েছে যা সত্যিই আতঙ্কের বিষয়।
এখানে দেখে নিন অন্যান্য কিছু অবৈধ পণ্যের কথা।
১. সামুদ্রিক কচ্ছপের পণ্য : সংকটাপন্ন সামুদ্রিক কচ্ছপের খোলস দিয়ে তৈরি যেকোনো পণ্য বা অলংকার বা চুলের সজ্জা বা বাদ্যযন্ত্র ইত্যাদি রয়েছে এ তালিকায়। এ ছাড়া খাওয়ার জন্যে সামুদ্রিক কচ্ছপের স্যুপ, পিম বা চামড়ার পণ্য বা ‘টরটয়েসশেল’ লেখা রয়েছে এমন যেকোনো কিছু।
২. সাপের মদ : দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় প্রায়ই দেখা যায়, এক বোতল মদের মধ্যে গোটা একটা সাপকে স্টাফ করে রাখা হয়েছে। অনেকের বিশ্বাস, এর বিশেষ গুণ রয়েছে যাকে মিথ্যা বলে গণ্য করেছে বিজ্ঞান। অনেক সময় ‘স্নেক ওয়াইন’ বানানো হয় জ্যান্ত সাপকে অ্যালকোহলে ডুবিয়ে দিয়ে। বরং এটি মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। হয় সাপটি অ্যালকোহলের কারণে বোতলের মধ্যে ঘুমিয়ে থাকবে এবং পরে কামড় বসাতে পারে। অথবা এটি মরে গিয়ে বিষাক্ত উপাদান যোগ করবে।
৩. পাখির পালক : দৃষ্টিনন্দন ও মনোমুগ্ধকর পাখির পালক দিয়ে তৈরি নানা জিনিস গৃহসজ্জায় কেনেন অনেকে। এর ওজন হালকা এবং সহজে বহন করা যায়। আমেরিকায় বিশেষ কিছু পাখির পালক দিয়ে তৈরি পণ্যকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
৪. কোরাল ও সিশেল : কোনো উপকূলীয় অঞ্চলে ঘুরতে গেলে এসবের দেখা মেলে। স্থানীয়রা পর্যটকদের জন্যে শুকনো কোরাল এবং সিশেল দিয়ে তৈরি নানা পণ্য বিক্রি করে থাকেন। এগুলো কেনা সহজ। রত্নের মতোই কিছু কোরাল দারুণ মূল্যবান। তাই এদের রক্ষায় এ ধরনের পণ্য বিক্রি ও কেনা উভয়ই অবৈধ বলে গণ্য করা হয়। কাজে না জেনে এসব কিনে বিমানবন্দরে হয়রানির শিকার হবেন না। প্রথমেই নিজ দেশের আইন-কানুন জেনে নেবেন। তা ছাড়া যেখান থেকে কিনছেন সে দেশের আইনেও তা বৈধ কিনা জানতে হবে।
৫. সিন্ধুঘোটকের আইভরি : অনেক দেশেই সি-কাউয়ের আইভরি সংগ্রহ এবং এর ব্যবহারে পণ্য তৈরি অবৈধ হয়। তবে শর্ত হলো, পণ্যগুলো অবশ্যই আলাস্কায় তৈরি হতে হবে। যেখানেই নিয়ে যান না কেন, আলাস্কায় তৈরি হয়েছে এমন লিখিত প্রমাণপত্র দেখাতে হবে। নিজে বুঝতে আলাস্কা নেটিভ আর্ট বিষয়ক কোনো গাইড বই পড়তে পারেন।