January 18, 2025     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular শারীরিক

ভাবছেন তেল ও ফ্যাট মানেই খারাপ? আসল সত্যিটা জানেন কি 

[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :

সুস্থ থাকার জন্য, ওজন ধরে রাখার জন্য তেল, ফ্যাট জাতীয় খাবার কম খাওয়া উচিত। কারণ এতে শরীরে যেমন মেদ জমে, তেমনই হার্টের সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ারও ঝুঁকি বাড়ে।

এই ধারণাগুলো থেকেই ধীরে ধীরে খারাপ হিসেবে পরিণত হয়েছে তেল, ফ্যাট।

তেল বা ফ্যাট নিয়ে প্রচলিত ধারণার অনেকটাই কিন্তু মিথ। তেল বা ফ্যাট যে শরীরের জন্য সম্পূর্ণ অপকারী নয়, এমনকী শারীরবৃত্তীয় কাজের সঠিক সাম্য বজায় রাখার জন্য যে তেল বা ফ্যাট খাওয়ার প্রয়োজন রয়েছে তা অনেক ক্ষেত্রেই উল্লেখ করা হয় না।

ফলে অনেকের মনেই অকারণ ভীতি তৈরী হয়ে যায়। জেনে নিন ফ্যাট সম্পর্কে কিছু দরকারী তথ্য যা আপনার অর্থহীন ভয় দূর করতে পারে। স্যাচুরেটেড ও মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট খেলে হার্টের অসুখ হয় না।

পাম তেল, নারকেল তেল, মাখন, চকোলেট, মাছের তেল, বাদাম জাতীয় খাবারে স্যাচুরেটেড ও মনোস্যাচুরেটড ফ্যাট থাকে। চিকিত্সকরা জানাচ্ছেন, সুস্থ থাকতে প্রতি দিন ২০ গ্রাম স্যাচুরেটেড ফ্যাট খাওয়া প্রয়োজন। তবে অতিরিক্ত মাত্রায় স্যাচুরেটেড ফ্যাট খাওয়া কখনই উচিত নয়।

ডায়েটারি কোলেস্টেরল আর সিরাম কোলেস্টেরল এক নয়। শরীরের প্রধান অঙ্গের কার্যকারিতার জন্য ডায়েটারি কোলেস্টেরল প্রয়োজন। প্রতি ডেসিলিটার রক্তে ৬০ মিলিগ্রাম বা তার বেশি এইচডিএল কোলেস্টেরল থাকা উচিত।

এই জাতীয় কোলেস্টেরল ভাল কোলেস্টেরল হিসেবে পরিচিত। হার্টের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে এইচডিএল কোলেস্টেরলের প্রয়োজন রয়েছে। যদি আপনার এইচডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা প্রতি ডেসিলিটার রক্তে ৪০ মিলিগ্রামের নীচে নেমে যাওয়া শরীরের পক্ষে ভাল নয়।

এলডিএল কোলেস্টেরল বা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও এইচডিএল কোলেস্টেরলের প্রয়োজন রয়েছে। অলিভ অয়েল, বিনস, গোটা শস্য, ফাইবারযুক্ত ফল, তৈলাক্ত মাছ, সয়, অ্যাভোকাডো, রেড ওয়াইন খেলে এইচডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ে।

বিজ্ঞাপনে যে তেলগুলো হার্টের জন্য উপকারী হিসেবে দেখানো হয় অনেক সময়ই আসলে তা নয়। ফলে বিজ্ঞাপন দেখে নিজের খাবার বাছবেন না। ডায়েটিশিয়ান বা চিকিত্সকের পরামর্শ নেবেন।

যে সব তেল গরম হতে বেশি তাপমাত্রার প্রয়োজন হয়, সেই সব তেলকেই স্বাস্থ্যকর বলেন বিশেষজ্ঞরা।

Related Posts

Leave a Reply