অতিআশ্চর্য : হৃদয় ছাড়াই দেড় বছর!
কলকাতা টাইমস :
জরুরী ভিত্তিতে হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপন করা ছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না। কিন্তু ডোনার পাওয়া যাচ্ছিল না। তাই আশায় বুক বেঁধে অপেক্ষা করা ব্যাতীয় আর কিছু্ই করার ছিলনা মার্কিন যুবক লারকিনের।ডোনার মেলেনি। অথচ হৃদযন্ত্রটা আর কাজ করার মতো অবস্থায় নেই। এরকম এক পরিস্থিতিতে টানা ৫৫৫ দিন অর্থাৎ প্রায় দেড় বছর একটি যন্ত্রের সাহয্যে বেঁচে রইলেন মিশিগানের যুবক স্টান লারকিন।
লারকিনের পরিবারের মধ্যেই ছিল এই হৃদযন্ত্র অকেজো হয়ে যওয়ার রোগ। লারকিনের ভাই ডমিনিকও ও একই রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে। চিকিৎসকরা বলে দেন হৃদযন্ত্র বদল করা ছাড়া আরে কোনও উপায় নেই। ডমিনিক ডোনার পেয়ে গেলেও লরকিন কিন্তু কোনও ডোনার পাননি। (আরও পড়ুন : হাসপাতাল ট্রেন, ট্রেনেই অপারেশন)
২০১৪ সালে লারকিনের দেহে জুড়ে দেওয়া হয় একটি যন্ত্র। যন্ত্রটির নাম সিনকার্ডিয়া। এই যন্ত্রটির সাহয্যেই লারকিলেন দেহে অক্সিজেন সরবারহ হত। একটি ব্যাকপাকে পিঠে ওই যন্ত্রটিকে নিয়ে ঘুরেছেন লারকিন।
ইউনিভার্সিটি অব মিশিগান ক্রাঙ্কেল কার্ডিও ভাসকুলার সেন্টারের চিকিৎসক ডেনাথন হাফর্ট জানিয়েছেন, আমরা ওদের হার্ট বদেলে দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ডোনার পাওয়া যাচ্ছিল না। তাই ওদের দেহে ওই ধরনের একটি যন্ত্র লাগিয়ে দেওয়া হয়।