একদিন প্রয়োজনে ট্রেনে দাড়ি কামিয়েছিলেন তিনি, আর তাতেই কিনা জুটে গেলো ৩৭ লাখ টাকা!
কলকাতা টাইমসঃ
অ্যান্টনি টোরেসের ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায় ইন্টারনেটে। তিনি চলন্ত ট্রেনে বসে কোনো আয়না ছাড়াই দাড়ি কামাচ্ছিলেন। তার ভিডিওটি ভাইরাল হতেই তার ভাগ্য ফিরে গেল। তার হাতে এলো ৩৭ লাখ টাকার অনুদান ও বেশকিছু চাকরির প্রস্তাব।
অনেকেই ভেবেছিলেন ভদ্রলোক এতটাই ব্যস্ত যে বাড়িতে দাড়ি কাটার সময় পাননি। কিন্তু বিষয়টি আসলে তা নয়। আমেরিকান এই ব্যক্তি আসলে গৃহহীন। তার চাকরিও নেই। গৃহহীনদের শেল্টারে তার রাত কাটে তার। এক ভাইয়ের কাছে যেতে চেয়ে ফোন করেছিলেন। সেই ভাই অন্য এক ভাইয়ের বাড়িতে যাওয়ার জন্য অ্যান্টনিকে একটি ট্রেনের টিকিট পাঠান। নিউ জার্সির ট্রেনে চেপে তার হঠাৎ মনে হয়, তাকে দেখতে খুব বাজে লাগছে। ভাইয়ের স্ত্রী ও বাচ্চারা কী ভাববে! তার জন্যই তিনি ট্রেনের মধ্যেই রেজার ও শেভিং ক্রিম বের করে দাড়ি কামাতে আরম্ভ করেন।
পাশের এক যাত্রী অ্যান্টনির এই কাণ্ড ক্যামেরাবন্দি করেন। সেই ভিডিও ভাইরাল হতেই অনেকেই নেতিবাচক কমেন্ট করতে থাকেন। অনেকে গালিও দেন অ্যান্টনিকে। তার এক ভাইজি সেই ভিডিওটি তাকে দেখায়। তারপর অ্যান্টনি ঠিক করেন, তিনি আর ট্রেনেই চড়বেন না। ওয়াশিংটন পোস্টের এক সাংবাদিক তাকে খুঁজে বের করে একটি সাক্ষাৎকার নেন। সেখানে তিনি জানান, তার কোনো বাড়ি নেই। কোনো কাজও নেই। কারণ তিনি অসুস্থ, আর বেশ কয়েক বছর আগে আহত হয়েছিলেন। ফলে ভারি কাজও করতে পারেন না।
এর পরেই তার ভাগ্যের চাকা ঘুরতে থাকে। অনেকেই অ্যান্টনির সহমর্মী হয়ে ওঠেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। জর্ডন উহল নামে এক ব্যক্তি ‘গো-ফান্ড-মি’ -এর পেজে গিয়ে অ্যান্টনির জন্য অনুদান জোগাড় করতে থাকেন। দু’দিনের মধ্যে সেখানে ৩৭ লাখ টাকার কিছু বেশি জমা পরে। শুধু তাই নয় তিনি অনেক চাকরির প্রস্তাবও পেয়েছেন। ‘আমি খুব খুশি। নিজেকে মানুষ বলে মনে হচ্ছে এখন। লোকে এবার আমার আসল কাহিনি জানতে পেরেছে’, বলছেন ৫৬ বছর বয়সী অ্যান্টনি।