November 12, 2024     Select Language
৭কাহন Editor Choice Bengali KT Popular

গ্রামের ৭২টি পরিবারের একটি মোবাইল  

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস :

র্তমান সময়ে দৈনন্দিন জীবনে অন্যতম অনুষঙ্গ মোবাইল ফোন। ফোনবিহীন আমাদের জীবন অকল্পনীয় প্রায়।  তবে প্রচলনের প্রথম দিকে কিন্তু মোবাইল এতটা সহজলভ্য ছিল না। তখন বড় বড় শহরেও ব্যক্তির হাতে মোবাইল ফোনের দেখা মিলত কালেভদ্রে। তবে দিন বদলেছে। অন্যান্য ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসের চেয়ে মোবাইল ফোন এখন সবচেয়ে সহজলভ্য। বর্তমানে ধনী-গরিব সকলের হাতে এক বা একাধিক ফোন দেখা যায়।

এমন সময় খোঁজ পাওয়া গেল এমন একটি গ্রামের, যে গ্রামের মানুষ একটি ফোন দিয়ে তাদের সব ধরনের যোগাযোগ সম্পন্ন করেন। গ্রামের নাম দান্দাবাহালি। উড়িষ্যা রাজ্যের আঙ্গুরজেলায় অবস্থিত। দান্দাবাহালিতে সব মিলিয়ে ৭২টি পরিবারের বাস। অথচ মোবাইল মাত্র একটি।

গ্রামের মানুষ দরিদ্র বলে তাদের মোবাইল কেনার টাকা নেই, ব্যাপারটি এমন নয়। প্রধান সমস্যা নেটওয়ার্ক। অধিকাংশ ফোন কোম্পানির নেটওয়ার্ক এই গ্রামে কাজ করে না। তাই গ্রামবাসীর মোবাইল কেনার সামর্থ্য থাকলেও তারা কিনতে আগ্রহী নয়। তাছাড়া অনেকের বাড়িতে দামী ফোন থাকলেও তা দিয়ে আর যাই হোক কথা বলা যায় না।

তবে এই একটি মোবাইল ব্যবহার করতে গ্রামবাসীকে যথেষ্ট পরিশ্রম করতে হয়। কারণ ফোনের মালিক বাসন্ত। গ্রামের সীমানা থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে তার একটি দোকান আছে। এই দোকানের সামনে একটি গাছে তার ফোনটি ঝুলানো থাকে। নতুবা এই ফোনেও নেটওয়ার্ক পাওয়া যায় না। অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস কিংবা পুলিশকে ফোন করতে হলে, অথবা দূরের আত্মীয়-স্বজনের কুশলাদি জানতে গ্রামবাসীর ভরসা বসন্তের মোবাইল। আত্মীয়-স্বজনরাও বসন্তকেই ফোন করে। বসন্ত তখন প্রয়োজনীয় খবর গ্রামে পৌঁছে দেয়। এমনকি প্রশাসনের লোকজনও প্রয়োজনে বাসন্তকে ফোন করে।

বসন্ত প্রতিদিন ভোর চারটেয় দোকান খোলে। বন্ধ করে রাত ৯টায়। এই সময়ের মধ্যে গ্রামের লোকেরা তাদের জরুরি কলগুলো সেরে নেয়। তবে এই সেবা দিতে বসন্ত টাকা নেয় না। এমনকি কিঞ্চিত বিরক্তও হয় না। কারণ হিসেবে বাসন্ত বলেন, গ্রামবাসী বিপদে পড়েই আমার কাছে ফোন করতে আসে। আমি তাদের জরুরি খবরগুলো পৌঁছে দিয়ে তৃপ্তি পাই।

Related Posts

Leave a Reply