২৫ জন-মাস্ক পড়লেই এবছর বাজবে পুজোর ঘন্টা
কলকাতা টাইমস :
দুর্গাপূজা মানেই প্যান্ডেলে-প্যান্ডেলে ঠাসাঠাসি ভিড়। হৈ-হুল্লোড়। ভুলে যান সে দৃশ্য। এবছর পুজো হবে করোনাময়। আর বেশিদিন বাকি নেই। জৌলুস নাকি নম নম করে এবারের মতো পূজা সারবেন ক্লাবের লোকজন? এ বিষয়ে মতান্তর থাকলেও করোনা সংক্রমণ রুখতে নিয়ম মেনে পূজা করতে চাইছেন উদ্যোক্তারা। বিধিনিষেধের কথা মাথায় রেখে থিমের পসরা সাজাতে রাজি শিল্পীরাও।
তবে এ বছর কলকাতার পুজকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড় করিয়েছে করোনাভাইরাস। দুর্গাপুজো উদ্যোক্তাদের যৌথমঞ্চ ‘ফোরাম ফর দুর্গোৎসব’-এর সদস্যরা সেটাই মানছেন। নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি জানিয়েছিলেন, পূজা করতে হবে। সবাই যাতে মাস্ক পরে এবং স্যানিটাইজার ব্যবহার করে মণ্ডপে যান, ক্লাব এবং পূজা উদ্যোক্তাদের সে বিষয়ে নজর রাখার কথাও বলেন তিনি।
এ পরিস্থিতিতে পূজার চার দিন কিভাবে নিয়ম মানা হবে, তার রূপরেখাও তৈরি করেছে ‘ফোরাম ফর দুর্গোৎসব’। মুখ্যমন্ত্রী মমতার অনুমতি দিলেই ঢাকে কাঠি পড়বে বলে আশা তাদের।
পূজার প্যান্ডেলে প্রবেশের পথে ব্যারিকেড দিয়ে দূরত্ববিধি যেন রক্ষা করা যায়, তারও চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা। ক্লাবের স্বেচ্ছাসেবকেরা নজর রাখবেন, যাতে দর্শকরা মাস্ক পরে ঢোকেন এবং প্যান্ডেলে প্রবেশের সময় প্রত্যেককে স্যানিটাইজার দেওয়া হয়।
মূল প্রবেশপথে তাপমাত্র মাপবেন স্বেচ্ছাসেবকেরা। জ্বর গায়ে কাউকে প্যান্ডেলে ঢুকতে দেওয়া হবে না। এভাবে বিধি নিষেধ মেনে এক বারে ২৫ জনের বেশি দর্শককে প্যান্ডেলে প্রবেশ করানো হবে।
ফোরাম ফর দুর্গোৎসবের সভাপতি কাজল সরকার জানিয়েছেন, পূজার আগে থেকে প্রচার করা হবে যাতে, দর্শকরা শুধু রাতের কয়েক ঘণ্টা ঠাকুর দেখার জন্য যাতে বেছে না নেন। তারা যেন সারা দিন ধরে ঠাকুর দেখেন। যে সব পূজায় স্টল থাকে, সেখানে অনেকটা জায়গা ছেড়ে তা বানানোর কথা বলা হয়েছে। দু’টি স্টলের মধ্যে কমপক্ষে যাতে ৩ থেকে ৪ ফুট ফাঁক থাকে।