কুখ্যাত এই ঘটনায় প্রধান বিচারপতির কাছে এমন দাবি জানান হল
[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস :
মঙ্গলবার আরজি কর কাণ্ডের শুনিনি সুপ্রিম কোর্টে। তার আগে সোমবার দেশের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়কে খোলা চিঠি পাঠালেন দেশ ও বিদেশের নাগরিক সমাজ, বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ মিলিয়ে প্রায় ৫৫টি গোষ্ঠী-সংগঠন এবং হাজারের বেশি সুশীল সমাজের প্রতিনিধি। এই খোলা চিঠিতে এই ঘটনার ন্যায়বিচারের সঙ্গে যৌন হিংসা এবং পুলিশি দমনের বিরুদ্ধে কার্যকরী নির্দেশ বা রায়দানের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। নটি দাবি সম্মলিত এই চিঠিতে আরজি কর কাণ্ডে অপরাধী শনাক্তকরণ, গ্রেফতার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবির পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্ট গঠিত জাতীয় টাস্কফোর্সের কাঠামো পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে বলা হয়েছে, এই কমিটিতে ডাক্তার, ছাত্র, সমাজকর্মী এবং আইনজীবী নিয়োগ করা হোক। আঞ্চলিক ভিত্তিতে এই কমিটি ধর্ষণ এবং শিক্ষানবীশ ডাক্তার খুনের ঘটনায় প্রাতিষ্ঠানিক গাফিলতি, স্বাস্থ্যক্ষেত্রে দুর্নীতি চক্র ফাঁস করতে অনেক বেশি কার্যকর হবে।
সাউথ এশিয়ান সলিডারিটি কালেক্টিভ, ডব্লুএওয়াইভিই ফাউন্ডেশন, লইয়ার্স কালেক্টিভ, সিপিএম এবং আদিবাসী উওমেন্স নেটওয়ার্কের মতো ৫৫টি সংগঠন এবং হাজারের বেশি সুশীল সমাজের প্রতিনিধি রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪) প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়কে লিখিত আর্জিপত্র দিয়েছেন। তাতে নিম্ন স্বাক্ষরকারীরা নারীবাদী সংগঠন, ছাত্র, গণসংগঠন এবং সাধারণ নাগরিক হিসেবে হতাশা প্রকাশ করে লেখা হয়েছে, ‘আমরা এই কারণে এই চিঠি লিখছি কারণ, সুপ্রিম কোর্ট স্বতঃপ্রণোদিতভাবে আরজি কর কাণ্ডে মামলা গ্রহণ করলেও তা এখনও পর্যন্ত ন যযৌ ন তস্থৌ অবস্থায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। প্রতিবাদী মানুষের অভিযোগ, ক্ষোভ এবং আবেগকে স্পর্শ করতে ব্যর্থ হয়েছে। আমাদের অনুরোধ জাতীয় টাস্কফোর্সকে প্রতিবাদী ডাক্তার, পড়ুয়া, মহিলা, নারীবাদী সংগঠন এবং এই ইস্যুতে যারা আন্দোলন করছে তাদের সঙ্গেও আলোচনা করতে হবে। সুপ্রিম কোর্ট যেন একটি বিশেষ ফাস্ট ট্র্যাক আদালত গঠনের নির্দেশ দেয় সে বিষয়েও আমরা আর্জি জানাচ্ছি।’
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ঘটনার এক মাস কেটে গেলেও ধর্ষণ ও খুনের এই ঘটনায় সিবিআই কোনও অগ্রগতি দেখাতে পারেনি। মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ, ক্ষোভ, আবেগ রয়েছে এই ঘটনায়। তাঁরাও শীর্ষ আদালতের বিচারপ্রক্রিয়ার দিকে তাকিয়ে। অথচ এর আগের দিনে সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতে শুধুমাত্র প্রতিবাদী জুনিয়র ডাক্তারই মামলার কেন্দ্রবিন্দু ছিল, জুনিয়রদের রাজ্যের স্বাস্থ্যব্যবস্থার অবনতির জন্য দায়ী করে রাজ্যসরকার। আমরা চাই, ধীরগতি তদন্ত, উদ্দেশ্যমূলকভাবে অভিযুক্তদের রক্ষার চেষ্টা এবং নাগরিক প্রতিবাদের উপর হামলা বন্ধে প্রধান বিচারপতি কঠোর নির্দেশ দেবেন।
শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের কাছে পাঠনো চিঠিতে আবেদন করা হয়েছে, দুর্নীতিগ্রস্ত ও দোষী পুলিশ কর্তা, স্থানীয় রাজনৈতিক দলের কর্মী এবং যারাই শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদী ও নাগরিক জমায়েতের উপর শারীরিক নির্যাতন চালিয়েছে তাদের শাস্তির নির্দেশ দিতে।