ঝড়ে কম্পমান সাংবাদিক পাশে নির্বিকার অন্যরা
কলকাতা টাইমসঃ
ঝড়ের তাণ্ডব ঠিক কতটা, সেটা বোঝাতে টেলিভিশন চ্যানেলের একজন সাংবাদিক ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে ঠকঠক করে কাঁপছেন! যেন দাঁড়িয়ে থাকতে পারছেন না কিছুতেই। ঝড় তাকে দোলাচ্ছে যেন সামনে, পেছনে। অনেকটা ঘড়ির পেন্ডুলামের মতো। আর তখনই ওই সাংবাদিকের পেছন দিয়ে নিশ্চিন্তে হাঁটতে দেখা যায় দুই পথচারীকে। কংক্রিটের রাস্তা দিয়ে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ওয়েদার চ্যানেল’-এর হারিকেন ‘ফ্লোরেন্স’ নিয়ে ওই ‘লাইভ কাভারেজ’ নিয়ে তুমুল হাসাহাসি শুরু হয়েছে বিশ্বজুড়ে। সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ট্রোলড হচ্ছেন ওই সাংবাদিক। ভিডিওটি টুইটারে আপলোড হওয়ার ১২ ঘণ্টার মধ্যেই তার ভিউয়ার-সংখ্যা পৌঁছেছে এক কোটিতে। ‘লাইক’ পড়েছে তিন লাখ। আর তাতে ব্যাপক ভাবে ‘ট্রোলড হয়েছে টেলিভিশন চ্যানেলটির ‘লাইভ কভারেজ’।
টুইটে অনেকেই বলছেন, এমন নাটক করার দরকারটা কী ছিল? মানুষ তো বাস্তব পরিস্থিতিটাই জানতে চান। তাতে কেন এভাবে রং চড়ানো হলো? মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূলের নর্থ ক্যারোলিনার উইলমিংটন থেকে হারিকেন ‘ফ্লোরেন্স’-এর ওই ‘লাইভ কাভারেজ’ করছিল ‘দ্য ওয়েদার চ্যানেল’। আর ক্যামেরার সামনে যিনি সাংবাদিকের ভূমিকায় ছিলেন, তিনি একজন প্রবীণ মার্কিন আবহাওয়াবিদ মাইক স্পিডেল। প্রশ্ন উঠেছে, স্পিডেলের মতো একজন প্রবীণ আবহাওয়াবিদ কীভাবে এমন ‘নাটক’ করতে পারলেন?
নিন্দা-সমালোচনায় সোশ্যাল মিডিয়া ভেসে যাওয়ার পর মুখ খুলেছে ‘দ্য ওয়েদার চ্যানেল’। চ্যানেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এখানে এটা মনে করিয়ে দেওয়া ভালো, ক্যামেরায় স্পিডেলের পেছনে যে দুই পথচারীকে দেখা গেছে, তারা কংক্রিটে বাঁধানো রাস্তা দিয়ে হাঁটছিলেন। আর স্পিডেল দাঁড়িয়েছিলেন ভেজা ঘাসের ওপর। যেখানে বার বার তার পা পিছলে যাচ্ছিল। সোজা দাঁড়িয়ে থাকা কিছুতেই সম্ভব হচ্ছিল না স্পিডেলের পক্ষে। তাছাড়া দীর্ঘক্ষণের কাভারেজের পর কিছুটা ক্লান্তও হয়ে পড়েছিলেন তিনি।