‘লোকে কি বলবে টিকার আকালের মাঝেই ‘উৎসব’!
কলকাতা টাইমস :
টিকাকরণ নিয়ে ফের দলের তরফে এবার মুখ খুললেন দেশের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম। এদিন তিনি কেন্দ্রকে তোপ দেগে বলেন, ‘লোকে কী বলবে যখন করোনা টিকাকরণকে ‘উৎসব’-এর নামকরণ দেওয়া হয় সরকারের তরফ। এটা কোনও ভাবেই উৎসব হতে পারে না। এটা আদতে আমাদের জন্য একটি ধর্মযুদ্ধ। সরকার এই উৎসবের মাধ্যমে নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে চাইছে।’
দেশে রবিবার থেকে শুরু হয়েছে টিকা উৎসব৷ টিকাকরণের আওতায় যাঁরা রয়েছেন, বেশিমাত্রায় তাঁদের টিকা দেওয়া এই উৎসবের লক্ষ্য৷ ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত উৎসব চলবে৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে টিকা উৎসবে যোগদানের জন্য বিশেষ আবেদন করেছিলেন৷ করোনা টিকার আকালে একদিকে যখন বিভিন্ন রাজ্য করোনার টিকার আকালের কথা বলছে, সেইসময় দেশজুড়ে টিকা উৎসব শুরু হয়েছে৷ মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকের সময় টিকাকরণে জোর দেওয়ার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী৷ এক বিবৃতিতেও তিনি সাধারণ মানুষের উদ্দেশে বলেন, ‘প্রত্যেককে টিকা দিতে হবে৷ প্রত্যেকের চিকিৎসা করাতে হবে৷ প্রত্যেককে বাঁচাতে হবে৷’ টিকা উৎসব আদৌও কতটা প্রাসঙ্গিক? কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, যেখানে টিকার হাহাকার দেখা দিয়েছে, সেখানে এই উৎসব আদৌও কতটা প্রাসঙ্গিক?
সেরাম ইনস্টিটিউট ও ভারত বায়োটেক তাদের প্রতিষেধক কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিনের উৎপাদন বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ কিন্তু তাতেও পর্যাপ্ত ডোজ পেতে প্রায় দেড় মাস সময় লাগবে৷ এদিকে করোনার দৈনিক সংক্রমণ প্রতিদিন লাফিয়ে বাড়ছে৷ সমস্ত রেকর্ড ভেঙে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত এক লাখ ৫২ হাজার ৮৭৯ জন৷ পরিস্থিতি বুঝে বিভিন্ন রাজ্য ইতিমধ্যে সপ্তাহান্তে লকডাউন ও নাইট কার্ফু জারি করেছে৷ কিন্তু তাতেও কতটা কার্যকরী হবে তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন চিকিৎসকরা৷
প্রতিষেধক বণ্টনে কেন্দ্রের নীতি নিয়ে প্রথম থেকে প্রশ্ন উঠেছে৷ উদাহরণস্বরূপ অ-বিজেপি রাজ্যগুলির অভিযোগ, স্বজনপোষণ করছে মোদি সরকার৷ অর্থাৎ বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলিতে করোনা প্রতিষেধক বণ্টনে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে৷ দিল্লি, মহারাষ্ট্র, ছত্তিশগড়ের মতো রাজ্য বার বার এই অভিযোগ করেছে৷