মাঝে মধ্যেই পেটের একপাশে ব্যথা করে?
[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :
মাঝে মধ্যেই তলপেটে ব্যথা হচ্ছে। অন্তত মাসে একবার তো বটেই। এমনটা আপনার সঙ্গেও ঘটছে? কারণ জানেন কি? কেন এই ব্যথা, আর কীভাবে এর থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে, জেনে নিন।আসলে এটা আপনার একার সমস্যা নয়। সমীক্ষা বলছে, আজকাল প্রতি পাঁচজন নারীর মধ্যে একজনের এই সমস্যা হচ্ছে। চিকিৎসাশাস্ত্রের পরিভাষায় একে বলা হয় ‘মিডল পেইন’। মাসে একবার নারীদের তলপেটের একপাশে এই ওভালেশন পেইন হয়। আর এটা তখনই হয়, যখন ওভারি থেকে ফেলোপিন টিউবের মধ্যে ডিম্বাণু নিঃসরণ হয়। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি।
যদিও এটা সকলের হয় না এবং যাদের হয়, তাদের সকলের ক্ষেত্রে সমানও হয় না। চিকিৎসকরা বলছেন, ছেলেদের শরীরে যেমন সারাজীবন ধরেই ক্রমাগত শুক্রাণু নিঃসরণ হতে থাকে, মেয়েদের শরীরে তত ডিম্বাণু থাকে না। ৩০ বছর বয়স পর্যন্ত প্রায় ৯৫ শতাংশ নারীর শরীরেই মাত্র ১২ শতাংশ ডিম্বাণু বেঁচে থাকে। ৪০ বছর বয়সে তা কমে ৩ শতাংশ হয়ে যায়। অর্থাৎ ৯৫ শতাংশ মহিলা প্রতি মাসে প্রায় ৮ হাজার করে ডিম্বাণু খোয়াতে থাকেন। আর সেই কারণেই তাঁদের ৪০ বছর বয়সের পর প্রজনন ক্ষমতা সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যায়।
চিকিৎসকরা বলছেন, নারীদের পিরিয়ডসের ঠিক দুসপ্তাহ আগে একটি ওভারিতে ডিম্বাণু পেকে যায়। তখনই ওভারি মস্তিষ্ককে সংকেত দেয়, যে এই ডিম্বাণুকে ফেলোপিন টিউবের মধ্যে নিক্ষেপ করতে হবে। ওভারির মধ্যে ফলিসিল বা সিস্ট তৈরি হলে সেখান থেকেই এই ডিম্বাণু নিঃসরণ হয়। আর যেহেতু ওভারি থেকে তার বেরোনোর কোনও পথ নেই, তাই এটি ফেটে যায়।অনেক নারীই বিষয়টি অনুভব করতে পারেন না। কিন্তু কেউ কেউ অনুভব করতে পারেন এই তলপেটে ব্যথার মধ্য দিয়েই। কারও এক এক মাসে এক এক দিকে ব্যথা হয়, আবার কারও দু’মাস অন্তর একই দিকে ব্যথা হয়।
কী করবেন?
অল্প ব্যথা হলে করার বিশেষ কিছু নেই। ব্যথা যদি বেশি হয়, তাহলে ওষুধ খেতে পারেন। তবে সেই ওষুধই খাবেন যেগুলি মাইগ্রেন, আর্থ্রাইটিস বা পিরিয়ডসের ব্যথায় খান। আপনার শরীর অনুযায়ী হট প্যাক বা কোল্ড প্যাকও ব্যবহার করতে পারেন। এতে আরাম পাবেন। অনেকের আবার এই ব্যথা খুব বেশি হয়। মেডিকেল টেস্ট করিয়েও এর সঠিক কারণ ধরা পড়ে না। সেক্ষেত্রে গর্ভনিরোধক ওষুধ খাওয়া যেতে পারে, তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে। কখন সাবধান হবেন?
তলপেটে ব্যথা হলেই সবসময় নিশ্চিন্ত থাকবেন না। কারণ, তলপেটে ব্যথা মানে যে তা এই কারণেই হচ্ছে, তা নাও হতে পারে। সিস্ট, ফাইব্রয়েড, স্কার টিসু, এমনকী ক্যানসার বা একটোপিক প্রেগনেন্সির মত মারণ ব্যাধিরও প্রাথমিক লক্ষণ হয় তলপেটে ব্যথা। সুতরাং সাবধান থাকুন। বেগতিক বুঝলে চিকিৎসকের কাছে যেতে দ্বিধা করবেন না।
অল্প ব্যথা হলে করার বিশেষ কিছু নেই। ব্যথা যদি বেশি হয়, তাহলে ওষুধ খেতে পারেন। তবে সেই ওষুধই খাবেন যেগুলি মাইগ্রেন, আর্থ্রাইটিস বা পিরিয়ডসের ব্যথায় খান। আপনার শরীর অনুযায়ী হট প্যাক বা কোল্ড প্যাকও ব্যবহার করতে পারেন। এতে আরাম পাবেন। অনেকের আবার এই ব্যথা খুব বেশি হয়। মেডিকেল টেস্ট করিয়েও এর সঠিক কারণ ধরা পড়ে না। সেক্ষেত্রে গর্ভনিরোধক ওষুধ খাওয়া যেতে পারে, তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে। কখন সাবধান হবেন?
তলপেটে ব্যথা হলেই সবসময় নিশ্চিন্ত থাকবেন না। কারণ, তলপেটে ব্যথা মানে যে তা এই কারণেই হচ্ছে, তা নাও হতে পারে। সিস্ট, ফাইব্রয়েড, স্কার টিসু, এমনকী ক্যানসার বা একটোপিক প্রেগনেন্সির মত মারণ ব্যাধিরও প্রাথমিক লক্ষণ হয় তলপেটে ব্যথা। সুতরাং সাবধান থাকুন। বেগতিক বুঝলে চিকিৎসকের কাছে যেতে দ্বিধা করবেন না।
কীভাবে বুঝবেন যে এটা সাধারণ ব্যথা নয়?
ওভারির ডিম্বাণু নিঃসরণের ফলে যে ব্যথা হয়, তা দীর্ঘস্থায়ী হয় না, তার তীব্রতাও খুব একটা থাকে না। খেয়াল করে দেখুন, যে আপনার পিরিয়ডসের সময়ের দু’সপ্তাহ আগে ব্যথা হচ্ছে কি না। তা যদি না হয় এবং ব্যথা যদি তিনদিনের বেশি থাকে, অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
ওভারির ডিম্বাণু নিঃসরণের ফলে যে ব্যথা হয়, তা দীর্ঘস্থায়ী হয় না, তার তীব্রতাও খুব একটা থাকে না। খেয়াল করে দেখুন, যে আপনার পিরিয়ডসের সময়ের দু’সপ্তাহ আগে ব্যথা হচ্ছে কি না। তা যদি না হয় এবং ব্যথা যদি তিনদিনের বেশি থাকে, অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।