বসে পড়েছে অর্থিনীতি, পাকিস্তানে বন্ধ হচ্ছে মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবা! বাড়বে আঁধারও
সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে NITB জানিয়েছে, পাকিস্তানের টেলিকম সংস্থাগুলিকে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে যে, দেশব্যাপী দীর্ঘ সময়ের জন্য বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। এর ফলে পরিষেবা বজায় রাখা ক্রমেই কঠিন হয়ে উঠছে। এদিকে শাহবাজ শরিফ আশঙ্কা প্রকাশ করে জানাচ্ছেন, জুলাই থেকে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ আরও বাড়বে। ফলে সব মিলিয়ে পাকিস্তানের পরিস্থিতি যে ক্রমেই কঠিন হয়ে উঠছে, তা স্পষ্ট।
উল্লেখ্য, করোনা মহামারী, অপশাসন ও ঋণের ভারে পাকিস্তানের অর্থনীতি কার্যত হাঁটু গেড়ে বসে পড়েছে। জোর ধাক্কা খেয়েছে পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানি। ফলে তলানিতে ঠেকেছে বিদেশি মুদ্রা ভাণ্ডার। ফলে খাবার থেকে ওষুধ সবকিছুরই দাম ভয়ানক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। খাদ্য ও ওষুধের মতো জরুরি পণ্যের জোগান বজায় রাখতে সমস্ত ‘অপ্রয়োজনীয়’ বিলাসী পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ করেছে শাহবাজ শরিফের সরকার। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতি সামাল দেওয়া মুশকিল হচ্ছে। আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার আইএমএফ স্পষ্ট জানিয়েছে, খরচে রাশ টেনে সরকারকে আয় বাড়াতে হবে। রাজস্ব ঘাটতিতে লাগাম টানতে হবে। তবেই তারা ৯০ কোটি ডলারের ঋণ মঞ্জুর করবে।