পাকিস্তানে স্তব্ধ হলো মানবধিকারের কণ্ঠ, প্রণাম কোলকাতা টাইমসের।
নিউজ ডেস্কঃ
মানবতা ও ন্যায়ের পক্ষে সোচ্চার এক পাকিস্তানি কণ্ঠস্বর আসমা জাহাঙ্গীর। রবিবার লাহোরে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ভূমিকার প্রশ্নেও সরব ছিলেন আসমা।
আসমা জাহাঙ্গীরের বাবা সরকারি চাকরি জীবন শেষ করে যোগ দিয়েছিলেন রাজনীতিতে। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে সেনাবাহিনীর গণহত্যা চালানোর সমালোচনা করে জেলও খেটেছেন তিনি। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য ভূমিকার কারণে ২০১৩ সালে তাকে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ‘মৈত্রী সম্মাননা’ দেওয়া হয়। বাবার পক্ষ থেকে সেই পুরস্কার গ্রহণ করতে আসেন আসমা জাহাঙ্গীর।
পাকিস্তান ভিত্তিক মানবাধিকার আইনজীবী হিসেবে কাজ করতেন আসমা জাহাঙ্গীর। দেশটির সুপ্রিমকোর্ট বারের প্রেসিডেন্টও ছিলেন তিনি। পাকিস্তানের মানবাধিকার কমিশন গড়ে তোলার ক্ষেত্রে আসমা জাহাঙ্গীরের ভূমিকা ছিল অগ্রগণ্য। পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে ভুগছিলেন। বেশ কয়েক বছর ধরে চিকিৎসাধীন ছিলেন। শনিবার রাতে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
আসমা জাহাঙ্গীর বিশ্বব্যাংক ও এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের হয়ে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের বিচার ব্যবস্থা সংস্কারের পরামর্শক হিসেবে কাজ করেছেন। জাতিসংঘের বিশেষ দূত হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি। পাকিস্তানের উইমেন ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যও ছিলেন ৬৬ বছর বয়সী এই মানবাধিকারকর্মী আসমার মরদেহ লাহোরের একটি প্রাইভেট হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানানো হয়েছে, বিদেশ থেকে তার সন্তানেরা দেশে ফিরে আসলে তাকে সমাহিত করা হবে।