বাংলাদেশে আগুন পাকিস্তানের, দাবি হাসিনা পুত্রের
কলকাতা টাইমস :
শুধু হাসিনার ফেরা নয় এদিন বাংলাদেশের অশান্তির পেছনে মদদকারী নিয়ে বিস্ফোরক জবাব দিয়েছেন জয়। তিনি সরাসরি পাকিস্তানকে তোপ দেগে বলেছেন, বাংলাদেশকে অশান্ত করতে পাকের এই কাজ। বাংলাদেশের বিপর্যয়ের পর অনেকেই এই সন্দেহ পোষণ করছিলেন। এবার সেই সন্দেহকে সত্যি প্রমাণিত করে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এবার সরাসরি পাকিস্তানকে দায়ী করে বললেন, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক হিংস্র আন্দোলন এবং শাসন পরিবর্তনের পিছনে হাত রয়েছে পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর। তিনি দাবি করেছেন, বাংলাদেশে চলমান হিংসার পিছনে বিদেশী হস্তক্ষেপের ‘পরিস্থিতিগত প্রমাণ’ রয়েছে। আন্দোলনকারীরা পুলিশকে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করেছিল। দাঙ্গাবাজদের হাতে বন্দুক ছিল। তারা কোথা থেকে এই বন্দুক পেল? জয় প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর মতে, এই আগ্নেয়াস্ত্রগুলি সন্ত্রাসবাদী সংগঠন বা বিদেশি কোনও শক্তি সরবরাহ করেছে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জয় বলেন, ‘দাঙ্গার যে ছবি বাংলাদেশে দেখা গেছে তাতে আমার সন্দেহ নয়, আমি একপ্রকার নিশ্চিত, পাকিস্তানের আইএসআই এর সঙ্গে জড়িত। হামলা-প্রতিবাদ, সব হয়েছে অত্যন্ত সমন্বিত উপায়ে, পরিকল্পিতভাবে। সেই সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিস্থিতিকে উস্কে দেওয়ার জন্য ইচ্ছাকৃত প্রচেষ্টা চলেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার যাই করুক না কেন, তারা আরও খারাপ করার চেষ্টা করে যাচ্ছিল।”
তিনি আরও জানিয়েছেন, গণতন্ত্র ফিরে আসলেই, ভোট ঘোষণা হলেই বাংলাদেশে ফিরবেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, “বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফেরাতেই হবে। আশা করি, বিএনপি এবং আওয়ামি লিগের মধ্যে এই বিষয়ে বোঝাপড়া হবে। তারপর শেখ হাসিনা ফিরে আসবেন।” এর আগে অবশ্য জয় বলেছিলেন তাঁর মা বাংলাদেশ নিয়ে অত্যন্ত হতাশ। তাই তিনি আর বাংলাদেশে ফিরবেন না। তবে, তার দুদিন বাদেই জয় জানিয়েছেন সারাদেশে যেভাবে আওয়ামি লিগের নেতা-কর্মীদের উপর ক্রমাগত হামলা হচ্ছে, তাতে সিদ্ধান্ত বদলেছেন হাসিনা।
জয় বলেছেন, “এখন আমরা আমাদের জনগণকে নিরাপদ রাখতে যা যা করা দরকার আমরা তা করব। আমরা তাদের একা ফেলে চলে যাব না।” তবে হাসিনা দেশে ফিরে আবার রাজনীতি করবেন কিনা, সেই বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। শেখ হাসিনাকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং তাঁর সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন জয়। সেই সঙ্গে বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফেরানোর জন্য আন্তর্জাতিক মহলে চাপ তৈরি করার জন্য ভারত সরকারকে অনুরোধ করেছেন হাসিনা পুত্র।
উল্লেখ্য, কোটা আন্দোলন থেকে হাসিনা হঠাও অভিযান চরম ওঠে গত ৫ আগস্ট। জনতার মিছিল গণভবনের উদ্দেশে যাত্রা করলে মুজিবকন্যাকে ৪৫ মিনিট সময় দেয় সেনা। তাঁকে প্রথমে সেনার কপ্টারে গণভবন থেকে সরিয়ে আনা হয়। এর পর বাংলাদেশি বায়ুসেনার সি-১৩০জে বিমানে দিল্লির কাছে গাজিয়াবাদের হিন্ডন বিমানঘাঁটিতে উড়িয়ে আনা হয়। এর পর থেকে দিল্লিতেই আছেন হাসিনা, রেহানা এবং তাঁর বিপদের সঙ্গীরা। হাসিনা যে ভারতেই আছেন, সেকথা সরকারিভাবে জানিয়েছেন খোদ বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর।