কাঁচা মাংস খাইয়ে নৃশংসতার ট্রেনিং দেওয়া হয় পাকিস্তানের BAT বাহিনীকে
ভারতীয় সীমান্তের ভিতরে ঢুকে বিএসএফ অতর্কিত হামলা করা পাক সেনাদেড় নিত্য নৈমত্তিক ব্যাপার। পাকিস্তানের একটি বিশেষ বাহিনী করে থাকে। যদিও ভারতের অভিযোগ অস্বীকার করে পাকিস্তান। পাকিস্তানের এই BAT (Border Action Team) বাহিনীকে কাঁচা মাংস খাইয়ে নৃশংসতার ট্রেনিং দেওয়া হয় বলে বহুবার দাবি করেছে ভারত।
তাদের দাবি, পাকিস্তানের সেনার এই বাহিনীর কাজই হল চরম নৃশংস ও বর্বর কাজ কর্ম করা। ভারতীয় সেনার উপর হত্যালীলা চালাতেই তৈরি করা হয়েছে পাকিস্তানি সেনার এই বিশেষ বাহিনী BAT।
কি এই বর্ডার অ্যাকশন টিম?
1. ২০১৩ সালে প্রথম নজরে আসে পাক সেনার এই বিশেষ টিম। চূড়ান্ত প্রশিক্ষণ দিয়ে বেশ কিছু সন্ত্রাসবাদীকে এই বাহিনীতে কাজে লাগায় পাকিস্তান।
2. ভারতের সীমান্তের ১ থেকে ৩ কিলোমিটার ভিতরে গিয়ে নৃশংস হত্যালীলা চালিয়ে আসার জন্যই তৈরি করা হয়েছে এই বিশেষ বাহিনী। পাকিস্তানের স্পেশাল সার্ভিস গ্রুপ এই বাহিনী তৈরি করে।
3. ভারতের মার্কোস ও ব্ল্যাক ক্যাটের কাছে যেসব অস্ত্র রয়েছে সবরকম অস্ত্রই ব্যবহার করে BAT.
4. পাক সেনার এই বাহিনীকে সম্পূর্ণভাবে সাহায্য করে আইএসআই।
5. সব ধরনের নৃশংস কাজ করার ট্রেনিং দেওয়া হয় এদের। ধড় থেকে মুণ্ড আলাদা কিভাবে করতে হয় সেটাও শেখানো হয়। এমনকি কাঁচা মাংস খাওয়ার প্রশিক্ষণও পায় এরা।
6. BAT যখন ভারতের সীমান্তের ভিতরে প্রবেশ করে তখন, তাদের কাছে থাকে স্যাটেলাইট ফোন, এনার্জি ফুট ও অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র।
7. চার মাস ধরে ট্রেনিং দেওয়া হয় এই বাহিনীকে। ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ হলেও যাতে এদের ব্যবহার করা যায়, সেই প্রশিক্ষণও দেয় পাকিস্তান।
8. এই বাহিনীকে ব্যবহার করার উদ্দেশ্য হল ভারতীয় সেনার সঙ্গে এমন নৃশংস কাজ করা যাতে , তারা এগোতে ভয় পায়। বিএসএফকে আতঙ্কিত করে দেওয়াটাই মূল উদ্দেশ্য।
9. বেশ কয়েকবার এই ধরনের হত্যালীলা চালিয়েছে পাক সেনা। যদিও এই বাহিনীর কথা অস্বীকার করে পাকিস্তান। ১৯৯৯: কার্গিল যুদ্ধের সময় ক্যাপ্টেন সৌরভ কালিয়ার বিকৃত দেহ ভারতে পাঠায় পাকিস্তান। ২০১৩ : কাশ্মীরের মেধর সেক্টরে ভারতীয় সেনা সদস্য হেমরাজের মুণ্ডচ্ছেদ করে নিয়ে যায় পাক সেনা। ২০১৬ : মাচিল সেক্টরের কাছে ভারতীয় সেনা সদস্য মনদীপ সিং-কে হত্যা করে তাঁর মুণ্ডচ্ছেদ করে নিয়ে যায় পাকিস্তান।
10. BAT-এর কাছে যেসব অস্ত্র থাকে- AK 47, স্নো-ক্লোদিং, ডিজিটাল নেভিগেশন সিস্টেম, শর্টগান, স্পোর্টস জিপিএস।