৫ থেকে লাফিয়ে ২২১ মিলিয়ন সম্পত্তি গড়ে গ্রেফতার পাকিস্তানের প্রাক্তন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
কলকাতা টাইমস :
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে করা মামলায় পাকিস্তানের প্রাক্তন পররাষ্ট্রমন্ত্রী খাজা আসিফকে গ্রেফতার করেছে পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরোর (এনএবি) কর্মকর্তারা।
মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) দলীয় কার্যালয়ে একটি বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পাকিস্তানের গণমাধ্যম সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আসিফকে গ্রেফতারের বিষয়ে এনএবি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আসিফের আয়ের সঙ্গে সম্পত্তির সামঞ্জস্য নেই। তার সম্পত্তির উৎস না জানাতে পারায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আসিফকে এর আগেও তলব করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি যাননি। তিনি তার আয়সহ অন্যান্য বিবরণীর হিসেবও দিতে পারেননি।
এনএবি’র বক্তব্য, ১৯৯১ সালে আসিফের মোট সম্পত্তি ছিল ৫.১ মিলিয়ন পাকিস্তানি টাকা । ২০১৮ সালে তা বেড়ে হয়েছে ২২১ মিলিয়ন। এত অর্থ কোথা থেকে এলো তার কাছে সেটা জানতে চেয়েছিল এনএবি। তিনি তার তথ্য দিতে ব্যর্থ হওয়ায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আসিফ দাবি করেছিলেন, আরব আমিরাতের একটি সংস্থায় কাজ করতেন তিনি। সেখান থেকে এই পরিমাণ সম্পত্তি হয়েছে তার। কিন্তু এনএবি’র বক্তব্য, যে সময় আসিফ আরব আমিরাতে কাজ করতেন বলে দাবি করছেন, সেসময় তিনি দেশেই ছিলেন। ওই কোম্পানির কাগজ তিনি জাল করেছেন বলে অভিযোগ করছে এনএবি।
খাজা আসিফ নওয়াজ শরিফের আমলে দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। ১৯৯১ সালে তিনি প্রথমবার মন্ত্রিত্ব পান। বর্তমানে আসিফ দেশের অন্যতম বিরোধী মুখ ছিলেন। নওয়াজ শরিফের অবর্তমানে দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা তিনি। বিরোধীদের অভিযোগ, রাজনৈতিক কারণেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আসিফের গ্রেফতারি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে টুইট করেছেন নওয়াজ শরিফ। তার অভিযোগ, ইমরান খানের সরকার বিরোধীদের বিরুদ্ধে দমনমূলক আচরণ করছে। টুইটে তিনি আসিফের নিঃশর্ত মুক্তি চেয়েছেন।
বিরোধীরা অবশ্য এই পুরো বিষয়টিকেই চক্রান্ত বলে মনে করছে। আসিফকে গ্রেফতার করায় ইমরানের ওপর বিরোধীদের চাপ আরও বাড়বে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।