ব্রিটিশ ‘স্যার’ ও ‘ম্যাডাম’ ঝেড়ে পঞ্চায়েতের নতুন শব্দ যোগ
গত মঙ্গলবার পঞ্চায়েত কাউন্সিলের বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ঐতিহাসিক এই সিদ্ধান্ত নিয়ে বিকল্প হিসেবে সম্বোধনে কী ব্যবহার করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা হয়।
পঞ্চায়েত সিদ্ধান্তে আসে যে, ‘স্যার’ এবং ‘ম্যাডাম’ শব্দ দুটি উপনিবেশ আমলের নিয়মের মধ্যে পড়ে। মথুর পঞ্চায়েতের ভাইস-প্রেসিডেন্ট পি. আর. প্রসাদ বলেন, ব্রিটিশদের থেকে স্বাধীনতালাভেরও ৭৫ বছর পেরিয়ে গেছে। গণতান্ত্রিক সরকারব্যবস্থায় জনগণের আধিপত্য দেখানোর সময় এসেছে।
বিভিন্ন কারণে মথুর পঞ্চায়েত অফিসে যাওয়া লোকদের আর সেখানকার কর্মকর্তাদের ‘স্যার’ বা ‘ম্যাডাম’ বলতে হবে না। এর বদলে তাদের পদবি বা নাম ধরে সম্বোধন করা যাবে। এখন থেকে পঞ্চায়েতের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী নিজেদের টেবিলে নাম প্রদর্শন করবে।
পঞ্চায়েত অফিসে যাওয়া কোনো ব্যক্তি যদি বয়স্ক কাউকে নাম ধরে ডাকতে অস্বস্তি বোধ করেন, সে ক্ষেত্রে নামের সঙ্গে বন্ধুভাবাপন্ন শব্দ যেমন- বড় ভাই বা বড় বোন যুক্ত করতে পারেন।
জানা গেছে, মথুর পঞ্চায়েত সরকারি ভাষা বিভাগকে ‘স্যার’ এবং ‘ম্যাডাম’ শব্দের উপযুক্ত বিকল্পের পরামর্শ দিতে বলেছে।
দ্য হিন্দু এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, জনগণ এতোদিন আবেদনপত্রে লিখে থাকে- বিনীত নিবেদন করছি; এ কথার বদলে তারা এখন থেকে লিখবে- আমার দাবি।
পঞ্চায়েত এরই মধ্যে অফিসের বাইরে নোটিশ প্রদর্শন করেছে। তাতে লেখা আছে, নিষিদ্ধ শব্দ স্যার এবং ম্যাডাম ব্যবহার না করার কারণে কোনো ব্যক্তি যদি সেবা দিতে না চায়, সে ক্ষেত্রে পঞ্চায়েত প্রেসিডেন্ট কিংবা সেক্রেটারি বরাবর অভিযোগ দেওয়া যাবে।