লম্বা ব্রেকের পর নিজেকে নতুন করে খুঁজে পাওয়ার আশ্বাস দেবে পসিঘাট
কলকাতা টাইমস :
ঘুরতে যাওয়ার জন্য ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জুড়ি মেলা ভার৷ একদিকে যেমন পাহাড়ের কোলে মেঘেদের ভেসে যাওয়ার দৃশ্য চোখ এবং মন উভয়ের কাছেই একরাশ শান্তি নিয়ে আসে, অন্যদিকে ঘন সবুজ জঙ্গল তেমনই ভিড়ের থেকে হারিয়ে গিয়ে, নিজেকে নতুন করে খুঁজে পাওয়ার আশ্বাস জোগায়৷
উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পাসিঘাট অরুণাচলপ্রদেশের একটি অন্যতম গোছানো শহর৷ দেশের প্রথম ১০০ স্মার্ট সিটির মধ্যে একটি হল পাসিঘাট৷ কিন্তু দেশের আর পাঁচটা মেট্রোপলিটনের মতো এই শহরকে এখনও গ্রাস করতে পারেনি দূষণ৷ পূর্ব সিয়াং জেলার সদর দফতর এই পাসিঘাট অরুণাচলের প্রাচীনতম শহরগুলির একটি৷ এই শহরকে কেন্দ্র করেই চারপাশে গড়ে উঠেছে ছোট-বড় নানা ট্যুরিস্ট স্পট।
পাসিঘাটের কয়েকটি বিখ্যাত পর্
ডেয়িং এরিং অভয়ারণ্য: পাসিঘাটের অন্যতম পর্যন্তন কেন্দ্র হল এই অভয়ারণ্য। সাইবেরিয়া, মঙ্গোলিয়া প্রভৃতি নানা দেশের পরিযায়ী পাখির ভিড় এই অঞ্চলের সৌন্দর্য বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়৷ পাশাপাশি, ঘন সবুজ জঙ্গল এবং বিরাট জলাধার এই অঞ্চলকে করে তোলে খুবই দৃষ্টিনন্দন৷ শহর থেকে মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত এই অভয়ারণ্য পরিবেশে কোলে ছুটি কাটানোর আদর্শ স্থান৷
কেকার মনিং: পাসিঘাট গেলে ঐতিহাসিক কেকার মনিং ঘুরতে যাবেন না, এমন বোধহয় হতেই পারে না৷ রোটাং-এর কাছে এই পাহাড়ি অঞ্চল ১৯১১ সালে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে হওয়া এক ঘোরতর যুদ্ধের সাক্ষী৷ তাই ইতিহাস প্রেমী মানুষের কাছে এই স্থান অবশ্যই অনেক গুরুত্বপূর্ণ৷
সিয়াং ও ব্রহ্মপুত্রে রিভার রা
পানগিং: এই পানগিং হল উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রয়াগ৷ সিয়াং এবং সিয়ম নদীর মিলনস্থল এই পানগিংয়ে দেখা যায় সবুজ জলের সৌন্দর্য৷ পাহাড়ি নদীর এই মিলনক্ষেত্র তাঁর অপূর্ব সৌন্দর্যের জন্য বরাবরই পর্যটকদের মন জয় করে নেয়।