এই বিখ্যাত অভিনেত্রীর জন্মদাত্রীই সমস্ত সম্পত্তি হাতিয়ে তাকে পথে বসান
[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :
তিনি বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী সারিকা। জন্মগত নাম সারিকা ঠাকুর। শৈশবেই দেখেছিলেন বাবা মায়ের বিচ্ছেদ। স্ত্রী, সন্তানের দায়িত্ব নিতে রাজি ছিলেন না সারিকার বাবা। ফলে সারিকাকে ছোট থেকে অভিনয় শুরু করতে হয়। উপার্জনের চাপেই তিনি কোনও দিন স্কুলে যাওয়ার সুযোগ পাননি।
মাত্র ১৩ বছর বয়সেই নায়িকা হয়ে যান তিনি। ১৯৭৫ সালে রাজশ্রী প্রোডাকশনের মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘গীত গাতা চল’-এ সচিনের নায়িকা হয়েছিলেন সারিকা। প্রথম ছবিতেই সচিন-সারিকা হয়ে উঠেছিলেন বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় জুটি।
সারিকা তাঁর মায়ের সঙ্গেই থাকতেন। তিনি কোন ছবি করবেন কোনটা নয়, সবই সিদ্ধান্ত নিতেন তাঁর মা। সচিনের সঙ্গে সারিকার সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল। সারিকা বিয়েও করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু মায়ের হস্তক্ষেপে সেটা হয়ে ওঠেনি।
সারিকার জীবন পুরোপুরি মায়ের নিয়ন্ত্রণে চলছিল। যত সময় এগিয়েছে সারিকা কেরিয়ারে আরও উন্নতি করেছেন, আরও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন। প্রচুর টাকাও উপার্জন করেছিলেন তিনি। কিন্তু সবই ছিল মায়ের অধীন।
সারিকার মা শুধু তাঁকে নিয়ন্ত্রণই করতেন না, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মেয়ের উপর নির্যাতনও শুরু করেছিলেন বলে অভিযোগ। প্রথমে বাড়ির চার দেওয়ালের মধ্যেই তা সীমাবদ্ধ ছিল।
এক বার প্রকাশ্যে অনুরাগীদের সামনেই চড় মেরেছিলেন মেয়ে সারিকাকে। সহ্যের বাঁধ ভেঙে গিয়েছিল সারিকার। ওই দিনই আলাদা থাকার সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন তিনি। মাত্র ২১ বছর বয়সে মায়ের ছত্রছায়া থেকে বেরিয়ে একা থাকতে শুরু করেন। কোনও টাকাপয়সা না নিয়ে একবস্ত্রে ঘর ছেড়েছিলেন তিনি। প্রথম কয়েক দিন নিজের গাড়িতে প্রায় ভবঘুরে জীবন কাটিয়ে ধীরে ধীরে থিতু হন একাকী জীবনে।
থাকার জন্য মুম্বইয়ে ঘর খুঁজছিলেন তিনি। যে সমস্ত ব্রোকারদের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছিল এ নিয়ে তাঁরাই তাঁকে এমন একটি খবর দিয়েছিলেন যা একেবারেই অজানা ছিল সারিকার। তাঁরা জানিয়েছিলেন, যে এলাকায় থাকার জন্য ঘর খুঁজছিলেন তিনি, সেখানেই নাকি ছয়টি ফ্ল্যাট কেনা রয়েছে তাঁর! খোঁজ নিয়ে সারিকা জানতে পেরেছিলেন এত দিন উপার্জন করে যে টাকা তিনি মায়ের হাতে তুলে দিতেন সে সব দিয়েই তাঁর মা নিজের নামে এই ফ্ল্যাটগুলি কিনেছিলেন।
সারিকা তখন এই নিয়ে মাকে কিছুই বলেননি। মায়ের মৃত্যুর পর তিনি ফ্ল্যাটগুলি নিজের অধিকারে নিতে যান, তখন আর এক সমস্যায় পড়েন। জানতে পারেন, সমস্ত সম্পত্তি তাঁর মা এক পরিচারিকার নামে লিখে দিয়েছিলেন। শেষ জীবনে মায়ের দেখভাল করতেন ওই পরিচারিকাই। এ নিয়ে আদালতের দ্বারস্থও হয়েছিলেন সারিকা। কিন্তু কোনও সম্পত্তিই তিনি হাতে পাননি। তাঁর উপার্জনের ওই সমস্ত সম্পত্তি পরিচারিকা নিয়ে নেন।