এসব রোগের ছবি সহজেই চেহারায় ফুটে ওঠে

কলকাতা টাইমস :
বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর রোগীর শরীরে বেশ কিছু পরিবর্তন দেখা দেয়। অনেকেই রোগের আভাস টের পায়! রোগ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে অবশ্যই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়া জরুরি ও আবশ্যক।
তবে জানেন কি? বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই চেহারায় ফুটে ওঠে রোগের প্রকাশ। এমনকি চিকিৎসকেরাও চেহারা ও চোখ দেখে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ধরে ফেলতে পারেন কোন রোগটি হয়েছে রোগীর। যেমন-
শুষ্ক ত্বক ও ঠোঁট
জলশূন্যতার সবচেয়ে প্রথম লক্ষণ এটি। জলশূন্যতার পাশাপাশি ঘর্মগ্রন্থিজনিত সমস্যা হাইপোথায়ারয়েডিজম (থায়রয়েড হরমোন সংক্রান্ত সমস্যা) লক্ষণ হিসেবেও শুষ্ক ত্বক দেখা দেয়। এছাড়া শুষ্ক ত্বকের সমস্যার সঙ্গে একজিমা ও চর্মরোগ সংক্রান্ত সমস্যাও যুক্ত থাকতে পারে।
অতিরিক্ত ফেসিয়াল হেয়ার
নারীর চোয়াল, চোয়ালের নিচে, ঠোঁটের উপরে ও কানের পাশের অংশে অনাকাঙ্খিত ও অতিরিক্ত চুল/লোম থাকার সমস্যাটি খুব পরিষ্কারভাবেই পলিসিস্টিক, ওভারি সিন্ড্রোম (PCOS)কে প্রকাশ করে। হরমোনাল ইমব্যালেন্স ও মেইল (পুরুষ) হরমোনের আধিক্য দেখা দেয়ার ফলে এই সমস্যাটি দেখা দেয়।
চোখের নিচের অংশ ফুলে থাকা
ক্লান্তিপূর্ণ চোখ ক্রনিক অ্যালার্জির সমস্যাকে প্রকাশ করে। রক্তনালীকা ডাইলেট হয়ে নিঃসরণ হয় এবং চোখের নিচের স্পর্শকাতর ত্বক ফুলে যায়, চোখের নিচে কালচে দাগ দেখা দেয়। চোখের ফোলা ভাবের আরো কয়েকটি কারণের মাঝে হাইপোথায়ারয়েডিজম ও স্লিপ অ্যাপনিয়াও থাকতে পারে।
ত্বকে র্যাশ ও ফুসকুড়ি
কিছুক্ষেত্রে খাদ্য হজমজনিত সমস্যা ত্বকের মাধ্যমে তার প্রকাশ ঘটাতে শুরু করে। চুলকানির প্রাদুর্ভাবযুক্ত লাল উঁচু অংশ ত্বকের বিভিন্ন স্থানে দেখা দেওয়ার মাধ্যমে অটোইমিউন ডিসঅর্ডারের প্রভাবকে প্রকাশিত করে। একইসঙ্গে অ্যালার্জি, একজিমা ও কিছু বিশেষ ধরনের ইনফেকশনের লক্ষণ হিসেবে দেখা দেয় এমন র্যাশ।
অতিরিক্ত চুল পড়া
চুলের সঙ্গে চোখের পাপড়ি ও আইভ্রু পড়ে যাওয়ার সমস্যা দেখা দিলে বুঝতে হবে অ্যালোপেশিয়া এরিয়াটার সংক্রমণ ঘটেছে। এটা মূলত এক ধরনের অটোইমিউন কন্ডিশন। এই সমস্যাটি শরীরের কিছু অংশে হতে পারে অথবা পুরো শরীরেই ছড়িয়ে যেতে পারে। এ কারণে অতিরিক্ত চুল পড়ার পাশাপাশি অপুষ্টিজনিত কারণেই চুল বেশি পড়ার সমস্যা দেখা দেয়।
নিত্যনতুন তিলের দেখা
শরীরে তিল থাকার বিষয়ে কেউ সচারচর পাত্তা দেয় না বা এই বিষয়টিকে আমলে নেন না। চর্ম বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছে, ঘনঘন তিল দেখা দেওয়া, তিলের আকার ও বর্ণ পরিবর্তন হওয়ার মতো বিষয়গুলো ঘটলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। কারণ এর পেছনে লুকায়িত থাকতে পারে স্কিন ক্যান্সারের মতো ভয়ানক রোগ।